শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

শারদীয় দূর্গোৎসবের সফল আয়োজনে পূজা পরিষদের প্রস্তুতি সভা

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।  শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের দেওভোগ শ্রী শ্রী রামসীতা মন্দিরে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।


নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা।

 
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিষদের সদস্য বাসুদেব চক্রবর্তী, দেওভোগ শ্রী শ্রী রামসীতা মন্দিরের মহারাজ শ্যামল মহারাজ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, মহানগরের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুণ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি ননী গোপাল সাহা, মহানগরের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম সাহা, কোষাধ্যক্ষ সুশীল দাস, ফতুল্লা থানা কমিটির সভাপতি রঞ্জিত মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার দাশ, সোনারগাঁও কমিটির সভাপতি লোকনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রদীপ ভৌমিক, বন্দর কমিটির শংকর কুমার দাশ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জ কমিটির সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, আড়াইহাজার কমিটির সভাপতি হারাধন চন্দ্র দে, রূপগঞ্জ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামাকান্ত সরকার, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য,  রঞ্জিত মোদক, প্রদীপ মন্ডল,  তপন গোপ সাধু, এড. রাজিব মন্ডল প্রমুখ ।


এ সময় প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে এড. খোকন সাহা বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব সফলবাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হচ্ছে। আপনাদের যেসকল সমস্যা রয়েছে, তা পূজা উদযাপণ পরিষকে জানান, তারাই এগুলোর সমাধান করবেন।

 

সেই সাথে আপনাদের মনে রাখতে হবে বর্তমানে এদেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়, আর আওয়ামীলীগের আমলেই সবচেয়ে বেশী মূর্তি ভাঙ্গা হয়। কারন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ ধরনের অপতৎপরতা চালায়। আপনাদের সকলকে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।


এ সময় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানা ও উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ আসন্ন দূর্গোৎসবে তাদের সমস্যাগুলোর কথা তুলে ধরেন এবং দূর্গোৎসবের পূর্বেই তার সমাধানের দাবী জানান।


তৃণমূল পর্যায়ে সমস্যা ও দূর্ভোগের কথা শুনে সেগুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিপন বলেন, বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সমস্যাগওলো প্রথমে আপনারা আপনাদের উপজেলা ও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দকে জানাবেন। 


তারা সমাধান না করলে আমাদের কাছে আসবেন, আর কমিটির লোকদের অবশ্যই সম্মান করবেন। কমিটির লোকেরা যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠির খোঁজ খবর না রাখেন তাহলে সে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হবে। তাছাড়া আপনারা কোন ক্ষুদ্র সমস্যাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অহেতুক উত্তেজনার সৃষ্টি করবেন না। 


প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করবেন। কিন্তু কোনভাবেই অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবেন না। আর শারদীয় দূর্গোৎসবে সাউন্ড সিষ্টেমে অবশ্যই ধর্মীয় সংগিত বাজাবেন, দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রাখবেন। 


সেই সাথে নারায়ণগঞ্জে ধর্মীয় সহবস্থান নিশ্চিত করতে হবে, মনে রাথকে হবে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে সেদিকে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে।


শিখন সরকার আরো বলেন, প্রতি বছরই আমরা শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের কাছ থেকে প্রতি মন্ডপের জন্য অর্থ সাহায্য পেয়ে থাকি। 


গত বছর আমি মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হয়েও ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ৭৫টি মন্ডপের জন্য ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ এনেছিলাম সাংসদের কাছ থেকে। এবারো আশা করবো মাননীয় সাংসদের সেই সহযোগিতা অক্ষুন্ন থাকবে। আমরা নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায় এ জন্য সাংসদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।


তিনি আরো বলেন, পূজা উদযাপণ পরিষদের কোন নিজস্ব ফান্ড নেই। যা কিছু করা হয় তা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে করা হয়। পূজা পরিষদের নিজস্ব একটা ফান্ড থাকলে একজনের উপর চাপ পরতো না।

 

তাই নারায়ণগঞ্জের সামর্থবান হিন্দু নেতাদের প্রতি আহবান জানাবো পূজা উদযাপণ পরিষদের জন্য একটা ফান্ড গঠন করতে। তাছাড়া আমরা পূজা উদযাপণ পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদই সকল সমস্যার সমাধান করে থাকি। 


ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা কোন সংগঠন এগিয়ে আসে না। তাই আমরা কোন কল্যাণ ট্রাষ্ট চাই না, চাই একটা ফাউন্ডেশন। যেমন মুসলমানদের জন্য রয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, তেমনি হিন্দুদের জন্য হিন্দু ফাউন্ডেশন চাই।


এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ্য  গোপিনাথ দাশের সুস্থ্যতা কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
 

এই বিভাগের আরো খবর