বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

শামীম ওসমান ছিলেন নিশ্চুপ

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। আমার আল্লাহ ও রাসুল (সা:) এর পরে যদি কাউকে মানি ও ভালোবাসি তারা হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, মহান স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমার রাজনীতিতে চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। 


বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতেই আমার রাজনীতি করা। কথাগুলো নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমানের। তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সভা সমাবেশে এইরূপ কথা গুলো জনতার উদ্দেশ্যে বলে থাকেন। তবে সকলের প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী শুরু হয়েছে ১৭ মার্চ থেকে। 

এই দিনটিকে সামনে রেখে জেলার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, দোয়া মাহফিল সহ কেক কাটলেও কোথাও দেখা যায়নি এক সময়ের প্রভাবশালী বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে! 


তাদের মতে, ভারত উপ মহাদেশের অহিংস নেতা বঙ্গবন্ধু’র জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে দলমত নির্বিশেষে সকলে একযোগে দিনটিকে উদযাপন করছে। যারা ভিন্নমতের রাজনীতি করে অভ্যস্ত তারাও দিনটিকে উদযাপন করেছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেন বলে মুখে ফেনা তুললেও সেই শামীম ওসমান কেন ছিলেননা কোন কর্মসূচীতে? 


বিশিষ্টজনদের মতে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও তিনি ঠিকই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একজন রাজাকার পুত্র হিসেবে পরিচিত একজনকে সাথে নিয়ে জন্মশত বার্ষিকীর উনুষ্ঠান কর্মসূচী পালন করেছেন। 


শামীম ওসমান বরাবরই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেন এমনটাই বলে থাকেন, তার বাবা একজন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সেই বিষয়টি বারং বার বার আলোচনায় আনতেও তিনি  ভোলেননা। 


তবে বরাবরই তিনি জাতীয় কর্মসূচীগুলোতে অনেকটাই আড়ালে থাকেন এবং মাঝে মাঝে বিশেষ দিনগুলোতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিদেশে ভ্রমনও করেন। তবে তার এমন আচরণ সর্বমহলেই সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। 

 

সচেতন মহলের মতে, রাজনীতিতে শামীম ওসমান খুবই অভিজ্ঞ। এত অভিজ্ঞতা থাকার পরও তিনি কি করে জন্মশত বার্ষিকীতে নিশ্চুপ ছিলেন ? অপর দিকে তার পুত্র অয়ন অসমান বরাবরই কর্মসূচী পাগল মানুষ।


সে অয়ন ওসমান তার অনুগতদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অনেক রাজনৈতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেও বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন মহাবীরের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন থেকে বিরত থাকলেন বিষয়টি কারোরই কাম্য ছিলনা। 

 

সচেতন মহল আরো মনে করেন, গত কয়েকদিন পূর্বে রত্না গর্বা মা ভাষা সৈনিক নাগিনা জোর মৃত্যু বার্ষিকীতেও দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ব্যাপক জন সমাগম নিয়ে উপস্থিত ছিলেন শামীম ওসমান ও তার পুত্র অয়ন অসমান। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে নিশ্চুপ ছিলেন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর