বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

শান্তি কমিটির যারা ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে : এড.দিপু

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) :বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের অন্যতম সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেছেন, রাজাকার, আলবদরদের বিচার হচ্ছে। যে শান্তি কমিটি রাজকারদের রিক্রুটিং সেন্টার ছিলো। গোলাম আজম, সবুর খান, কাদেরের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের জেলায় জেলায় শান্তি কমিটি হয়েছিলো। সেই শান্তি কমিটির লোকজন আমাদের এদেশের কিছু কুলাঙ্গারদের সংগ্রহ করে তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের সহায়তা করেছিলো। আমার দাবি, শান্তি কমিটির যারা ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

সোমবার বিকেল ৪টায় নগরীর ভূইয়ারবাগ এলাকায় বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে মহান স্বাধীনতা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট এ.এম.আমিনউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এর্টনি জেনারেল এডভোকেট মোতাহার রহমান সাজু।

দিপু বলেন, ৭ ই মার্চের ভাষণে জাতির জনক বলেছিলেন, শত্রু বাহিনী ঢুকেছে। নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটতোরাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর সেই কথা আজও চলমান। শত্রুবাহিনী যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিলো, এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা, যারা জামাত-শিবিরের রাজনীতি বিশ্বাস করে তারা আমাদের আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। যদি আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করতে না পারি তবে তারা ১৯৭৫ এর মতো আবার হামলা করতে পারে। তারা আমাদের নেতানেত্রীদের হত্যা করতে পারে। 

দিপু বলেন, ‘গণহত্যা দিবসে ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের পবিত্র আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে কোন ষড়যন্ত্র ও অপশক্তির বিরুদ্ধে বাঙালি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’ 

দিপু আরো বলেন, ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। এরপরদিন জাতির জনক নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুকে মোকাবেলা করার জন্য ইপিআরের ওয়্যারলেসে মেসেজ পাঠালেন। এই হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীনতার ডাক। 

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূনের সভাপতিত্বে এবং বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন চুন্নু ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর