মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

লিটন হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ২০১০ সালের আলোচিত লিটন হত্যা মামলায় ৩ আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছে আদালত।  বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়নগঞ্জ অতিরিক্ত (জেলা ও দায়রা) জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এ আদেশ দেন। ১১ জনের স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিওিতে এ রায় কার্যকর করা হয়েছে। 


মৃত্যুপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মোঃ রফিক, হাবিব হাবলা ও পলাতক আসামী মোঃ শরিফ মিয়া। রায় ঘোষনার সময়  মোঃ রফিক ও হাবিব হাবলা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অপর আসামী শরিফ মিয়া পলাতক রয়েছেন। 


রায় ঘোষনার পর ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত আসামী রফিকের স্ত্রী রুমা আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি এ রায় মানি না। আমার স্বামী সম্পূর্ন নির্দোষ বিনা কারনে দশ বছর ধরে জেল হাজতে রয়েছে আমি এখন সন্তানদের নিয়ে কি করবো। 


এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা ন্যায় বিচারের আশায় মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি আমার স্বামী ন্যায় বিচার পাবে। রায় ঘোষনার পর পরই আসামী হাবিব ও রফিককে কারাগারে পাঠানো হয়। এসময় তার আত্বীয় স্বজনরা উচ্চ স্বরে কান্না করে এবং ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় আল্লাহর কাছে বিচারের দাবী জানায়। 


রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি কে এম ফজলুর রহমান বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি। আদালত সকল দিক বিবেচনা করে একটি চুড়ান্ত রায় প্রকাশ করেছে। এছাড়াও মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষ এ রায় ঘোষনা করা হয়েছে। 


উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর সন্ধা ৬ টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা উদ্দেশ্যে  রফিক, হাবিব ও শরিফ সদও থানার নিতাইগঞ্জ মন্দিরের সামনে থেকে লিটনকে ডেকে নিয়ে নিতাইগঞ্জ খাল ঘাটের পরিত্যক্ত একটি বিল্ডি এর ছাদে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। 


তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লিটনকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মৃত্যু বরণ করেন। 


এ ঘটনায় নিহত লিটনের ভাই সিরাজ মিয়া তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে আসামীদের গ্রেফতার করা হলে আসামী রফিক ও হাবলা ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর