মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

লিংকরোডে চামড়ার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, অপসারণের উদ্দ্যোগ নেই

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০১৯  

যুগের চিন্তা ২৪ : বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি না হওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও কুতুবরপুর ইউনিয়নের সংযোগস্থলে চামড়া ফেলে রেখে গেছেন ব্যবসায়ীরা।

 

গত দু’দিন ধরে পড়ে থাকা এ চামড়ার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয়ারা। এ পথে চলাচল করা সাধারণ মানুষ এ অবস্থায় দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে দেখা যায় পড়ে আছে প্রায় শতাধিক চামড়া। 

 


স্থানটি সিটি কর্পোরেশন ও কুতুবরপুর ইউনিয়নের সংযোগস্থল হওয়ায় একে অপরের উপর দায়ভার ঠেলে দিচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও এপথ দিয়ে যাতায়াতকারীরা। 

 


জানা গেছে, এবার চামড়া কিনে ধরা খেয়েছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। চামড়ার দাম এতোটাই কম যে কেউ কেউ বিক্রিই করতে পারেননি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষরা যারা চামড়া নিয়েছেন তারা এগুলো বিভিন্ন স্থানে মাটি চাপা দিলেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তা না করে চামড়াগুলো ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে ফেলে গেছেন। এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।

 

 

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে ময়লা আবর্জনার সঙ্গে চামড়াগুলো ফেলায় দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুর্গন্ধ কম ছিল, কিন্তু বুধবার (১৪ আগষ্ট) বিকেল থেকে একেবারেই খারাপ অবস্থা। দ্রুত এটি অপসারণ না করলে এ পথে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে উঠবে।

 

 

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, আমার কাছে আরও কয়েকজন অভিযোগ করেছে, আমি সংবাদটি পেয়েছি। এটা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মধ্যে, আমার কিছু কাজ আছে শেষ করেই ঘটনাস্থলে যাবো।

 

 

এ বিষয়ে নাসিকের প্রধান নির্বাহী (সিও) শাহ এহতেশামুল হক জানান, এটি নাসিকের বাইরে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনের জায়গায়। আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি আমার সিটি করপোরেশনের মধ্যে কোনো আবর্জনা নেই, থাকলে আমাকে জানান, আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তা পরিষ্কার করে দেবো। তবে যদি কেউ আমাদের কাছে সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা সহযোগিতা করবো। 

 

 

এটার পাশেই নম পার্ক ও ফতুল্লা স্টেডিয়াম কিন্তু এগুলোতে তো আমাদের নাসিকের কোনো হোল্ডিং নম্বর নেই। আমরা আমাদের সীমানা সম্পর্কে অবহিত রয়েছি বলেও জানান সিও শাহ এহতেশামুল।
 

এই বিভাগের আরো খবর