বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

লাল টাই ও আইডি কার্ড ব্যতিত টাউট বাটপার চিহ্নিত করা হবে

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্দেশনা মতে শিক্ষানবিস আইনজীবীদের এখন থেকে লাল টাই ও আইনজীবী সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত আইডি কার্ড ব্যতিত বাকিদের টাউট বাটপার হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। কোন শিক্ষানবিস আইনজীবী কালো কোর্ট পরিধান করতে পারবে না। সাদা শার্ট ও লাল টাই পরিধান করবেন। 

 

নারী শিক্ষানবিস আইনজীবীরা সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত গলায় লাল ব্যাচ পরিধান করবেন। এছাড়াও অন্য কোন ব্যক্তি নিজেদের শিক্ষানবিস আইনজীবী পরিচয় দিলে টাউট বাটপার হিসেবে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনও যারা ‘ল’ পড়ছেন কিংবা ‘ল’ পরীক্ষা দিবেন কিন্তু এখনও ‘ল’ পাস করেননি তারাও টাউট হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

 

বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের নিচ তলায় আইনজীবী সমিতিতে শিক্ষানবিস আইনজীবীদের লাল টাই ও আইডি কার্ড বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। 

 
এ সময় নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া থেকে টাউট বাটপার প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার পদক্ষেপকে ব্যাপক প্রসংশা করেছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু,  ও নারায়ণগঞ্জের বিচারকগণ ও সিনিয়র আইনজীবীরা। জুয়েল মোহসীনের নেতৃত্বে পরিষদের সকলকে প্রসংশনীয় উদ্যোগকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান তারা।


 অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ভোরে যেমন সূর্য উদয় হয় তারপর একটি সুন্দর দিনের অপেক্ষায় থাকতে হয়। ঠিক তেমনি শিক্ষানবিস আইনজীবীদের জন্য লাল টাই হলো ভোরের আলো, যাদের সম্ভাবনাময় দিনের সফলতা সামনে অপেক্ষা করছে। 

 

লাল টাই পরিধান করলে কোন শিক্ষানবিস আইনজীবীর অসুবিধা হবে বলে মনে হয়না। টাউট বাটপার প্রতিরোধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আজকে সকলের সামনে সুষ্ঠ সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জুয়েল মোহসীন পরিষদ।

 

ঢাকায় প্রতিদিন ৩/৪ জন করে টাউট বাটপার দালালকে ধরে চালান করা হচ্ছে। আশা করি নারায়ণগঞ্জেও এখন থেকে সেটা করা হবে। এবং দালাল টাউট বাটপারদের পক্ষে কেউ আইনি লড়াইয়ে দাড়াবেন না বলে আমি বিশ্বাস করি।


 
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান বলেন, আইন পেশায় জড়িতদেরকেই বিজ্ঞ বলা হয়। এটি একটি মহান পেশা। যার কেউ নাই তার জন্য আছে আইনজীবী। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই মহান পেশায় কিছু আইনজীবীর জন্য সাধারণ মানুষের কাছে কিছুটা হলেও অবমুল্যায়নের পথ তৈরি করেছে। যেখানে কিছুটা হলেও ধস নেমেছে বলে মনে করি। সেখান থেকে উত্তোরণের জন্য আজকের শিক্ষানবিস আইনজীবীদের দায়িত্ব। সম্মান ও ভালবাসা মাথায় তুলে নেয়া উচিত।


 
জেলা জজ আরও বলেন, আমি প্রথমে জুয়েল মোহসীনকে আমার সামনে দেখে ভেবেছিলাম এমন কম বয়সী দুজন সভাপতি সেক্রেটারি তারা কি পারবে সঠিক নেতৃত্ব দিতে। সভাপতির চেয়ে আরও তরুণ সেক্রেটারি। 

 

কিন্তু আজকে সভাপতি যেভাবে আজকের আয়োজনের বিষয়টি তুলে ধরলেন তা প্রসংশীয়। এছাড়াও উপস্থিত প্রায় সকল বক্তারাই জুয়েল মোহসীন মিয়া ও তাদের পরিষদকে ধন্যবাদ জানান।

 

পরে অতিথিদের নিয়ে নতুন কোর্টের গেটের সামনে জুুডিশিয়াল ভবন নির্মাণের জন্য পরিকল্পনায় থাকা জায়গা দেখান সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি মোহসীন মিয়া। জায়গাটিও সঠিক সিলেকশনে রয়েছে বলে অতিথিরা বক্তব্য করেন। পরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিও পালন করেন তারা। আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে বৃক্ষরোপন করে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক জুয়েল রানা, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আউয়াল, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক জাকির হোসেন, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুইয়া, জেলা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, জিপি অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, ভিপি কৌশুলী অ্যাডভোকেট ওয়াহিদা আক্তার রিতা, সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা, ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, আপ্যায়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আল আমিন সবুজ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম অনু, অ্যাডভোকেট আমেনা প্রধান শিল্পী ও অ্যাডভোকেট রাশেদ ভুইয়া প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর