শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

রোজায় যা খেলে সুস্থ থাকবেন

প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : রমজান মাসে টানা ১৪-১৫ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হয়। এ সময় দিনের বেলা আমাদের শরীর যকৃত ও পেশেিত জমানো শর্করা ও ফ্যাট থেকেে শক্তি লাভ করে। শরীরে পানি জমা থাকে না। ঘাম ও প্রসাবের সাথে পানি বের হয়ে যায়,পানিশূন্যতা হয় বলে মাথাব্যথা মাথাঘোরা,দুর্বলতা দেখা দেয়। এ ছাড়া অ্যাসিডিটি গ্লুকোজ কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয় রোজার মাসে।


ইফতারে আমরা বেশি খেয়ে ফেলি,আর তাতে ভাজা-পোড়া খাবারই বেশি থাকে। এ জন্য পেট ফাপা,বুক-গলা জ্বলা,বমি বমি ভাব হয়। পাকস্থলি ফাঁকা খাকার পর শুরুতেই অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, তৈলাক্ত ও লবণাক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি তো বাড়বেই,সঙ্গে পানির তৃষ্ণা এবং ক্ষিদে বাড়িয়ে দেয়। ইফতার এর পর থেকে সাহরি পর্যন্ত তাই উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, ফল, সব্জি, বাদাম এবং পানিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আসুন আমরা জেনে নেই ইফতার রাতের খাবার ও সাহরিতে কী ধরনের খাবার খেলে আমরা সুস্থ থাকবো।


ইফতার : ইফতারে এমন খাবার রাখা উচিৎ,যাতে প্রাকৃতিক চিনির যোগান থাকে এবং যা দ্রুত শক্তি যোগাতে পারে। অতিরিক্ত চিনি দেওয়া শরবৎ বা কৃএিম ফলের জুস খাওয়া যাবে না। ঘরে তৈরী ফলের জুস যেমন ব্যানানা শেক, ম্যাঙ্গো শেক, ওয়াটারমিলন শেক সুগার ক্যলরির ভালো উৎস। দু’তিনটি খেজুর শর্করা ও খণিজ এর চাহিদা মিটাবে। পানি জাতীয় ফল তরমুজ, আনারস, বাঙ্গি,কমলা, মাল্টা, নাশপতি, পেয়ারা ডিহাইড্রেশন দূর করবে।


প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ভালো মানের দই রাখা যেতে পারে খাদ্য তালিকায়। রান্না ছোলা থেকে কাচা ছোলায় পুষ্টিগুন বেশি, কেননা ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ কাঁচা ছোলাকে অতিরিক্ত তেল মসলা দিয়ে রান্না করলে এর পুষ্টিগুন ব্যাহত হয়।


রাতের খাবার : ইফতারের পর রাতে হালকা খাবার খাওয়াই উত্তম। রাতে অল্প পরিমাণে ভাত, লাল আটার রুটি, প্রোটিনের উৎস হিসেবে বিনস্ ডাল ও আশের চাহিদা পূরণের জন্য সালাদ থাকতে পারে।


সাহরি : সাহরিতে শস্যযুক্ত খাবার রাখতে হবে। যেসব খাবার ধীরে ধীরে হজম হবে ও সারাদিন এনার্জি দেবে। বিভিন্ন ধরনের ফল,বাদাম কিংবা পানি, দুধ বা দই এর মিশ্রণে ওটস/কর্নফ্লেক্স। ভিটামিন, মিনারেলস ও পানীয়ের উৎস হিসেবে সালাদ ও সব্জি রাখা উচিৎ। সাহ্রিতে মিষ্টি, চা, কফি খাওয়া ঠিক নয়। সাহরি আজানের আধঘন্টা আগেই শেষ করা উচিৎ।

এই বিভাগের আরো খবর