শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অভিযুক্তরা পলাতক

রূপগঞ্জের ধর্ষিতা পাগলীকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২০  

ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ধর্ষণের শিকার পাগলীকে খুঁজে পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক কসাই কহিনুর পলাতক রয়েছে। ঘটনা লোপাট করতে কসাই কহিনুর ঐ পাগলীকে গুম করে ফেলতে পারে এমনটা ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

 

কসাই কহিনুরের গ্রেফতারের দাবীতে ক্রমেই ফুঁসে উঠছে কাঞ্চন তথা রূপগঞ্জবাসী। যে কোন সময় বিক্ষুব্ধ জনতা লম্পট কসাই কহিনুরের গ্রেফতারের দাবীতে এশিয়ান বাইপাস ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচী পালন করতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

 

কসাই কহিনুর একসময় দূধর্ষ ক্যাডার ও অস্ত্রবাজ ছিলো। ঘটনার পর পুলিশ হাবিবুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছে। হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি পেশ করেছেন বলে রূপগঞ্জ থানার ওসি নিশ্চিত করেছেন। 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৬ মে কাঞ্চন পৌরসভার একসময়কার দুধর্ষ ক্যাডার, অস্ত্রবাজ কসাই কহিনুর এক পাগলীকে তুলে নিয়ে পূর্বাচল আমেরিকা সিটির বালুর মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ধর্ষণের শিকার পাগলীকে খুঁজতে মাঠে নামে। কিন্তু গত ৫ দিনেও পাগলীর খোঁজ মেলেনি।

 

কাঞ্চন পৌরবাসীর ধারণা, কসাই কহিনুর যে ধরণের খারাপ প্রকৃতির লোক, তাতে মনে হয় ঘটনা আড়াল করতে পাগলীতে গুম করে ফেলেছে। নতুবা একজন পাগলীর এতো অল্প সময়ে নিখোঁজ হওয়ার কথা নয়। 

 

এদিকে, গত শনিবার বিকালে পুলিশ কাঞ্চন থেকে হাবিবুর রহমান নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাবিবুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছে।

 

হাবিবুরের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, কসাই কহিনুর ও তার সঙ্গী পাগলীকে তুলে নিয়ে পূর্বাচল আমেরিকা সিটির বালুর মাঠে ধর্ষণ করেছে এটার স্বাক্ষী সে। হাবিবুর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। 

 


কাঞ্চন পৌরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কসাই কহিনুর তৎকালীন বিএনপির আমলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এলাকায় অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে। তার ছিলো বিশাল অস্ত্রধারী বাহিনী।

 

 ওই সময় সে কালাদি স্ট্যান্ডের ইদ্রিস আলীর মেয়েকে ধর্ষণ করে। এছাড়া দানিশ নামে এক ব্যক্তির স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। এসব ঘটনা ছাড়াও কসাই কহিনুরের আরো অনেক মুখরোচক কাহিনী কাঞ্চন পৌরবাসীর মুখে-মুখে। 

 


কসাই কহিনুরের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কসাই কহিনুর চিটাগাং পাহাড়তলী শহরে এক শিবির ক্যাডারের আশ্রয়ে থেকে ঐখানে শুট্যার হিসাবে কাজ করে। পাহাড়তলীতেও কসাই কহিনুর ছিলো আতঙ্কের নাম। 


রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, ভিকটিম পাগলীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খোঁজা হচ্ছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুর কসাই কহিনুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। পুলিশের কয়েকটি টিম কসাই কহিনুরকে গ্রেফতার করতে মাঠে রয়েছে। যে কোন মূল্যে তাকে গ্রেফতার করা হবে। 


 

এই বিভাগের আরো খবর