শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রিজার্ভ চুরির মামলা : বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : বহুল আলোচিত রিজার্ভ চুরির মামলায় বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে নিউইয়র্ক ফেড বাংলাদেশের দায়েরকৃত মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংককে ‘পরামর্শগত সহায়তা’ (টেকনিক্যাল সাপোর্ট) দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।


রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে এবং এর সঙ্গে দায়ীদের শাস্তির দাবিতে গেল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফিলিপাইনের ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি)- এর বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

 

একক ব্যক্তিকে দোষী করে দেয়া রায়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় আরসিবিসি’র বিরুদ্ধেই এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের এ মামলাকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যাংকটি।


এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেড-এর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ওই মামলায় বিভিন্ন ধরনের ‘পরামর্শগত সহায়তা’র মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রিজার্ভ উদ্ধারে কাজ করবে তারা।


সাধারণভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বাইরে দেশিয় কিংবা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে যে সহযোহিতা করে, তাই ‘পরামর্শগত সহায়তা’।


সহায়তাগুলো কেমন হতে পারে তা নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুরি হওয়া রিজার্ভ উদ্ধারে সহায়তা দিতে ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও দলের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করা হবে ফেড’র পক্ষ থেকে।  

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) থাকা বাংলাদেশের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ওই অর্থ ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়। চুরি হওয়া অর্থের       মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলারের সন্ধান পাওয়া গেলেও ফিলিপাইনে চলে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের পুরোটা এখনো উদ্ধার হয়নি। এ অর্থের মধ্যে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।


 
ওই অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য সেখানে দুটি ল’ফার্মকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের ফি নিয়ে একটি চুক্তিও হয়েছে । চুক্তি অনুযায়ী, চুরি যাওয়া ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধার করে দিতে পারলে ল’ফার্ম দুটিকে সেই অর্থের ১০ ভাগ দেয়া হবে।

 

জানা যায়, হ্যাকাররা চুরির অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে ওই অর্থ ফিলিপাইনের মুদ্রা পেসোতে রূপান্তরের পর দুটি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়।

 

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি আরসিবিসি’র সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে সাজা দেন ফিলিপাইনের আদালত। এতে তাকে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর