যৌন হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই : ওসি

সিদ্ধিরগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : যৌন হয়ারিন থেকে মুক্তি পেতে হলে অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই। এক দিনেই তো এত গুলো ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি। আপনার সন্তান একটি ৭ তলা ভবনে কোচিং করতে যায়। ঐ কোচিং সেন্টারে আপনারা সন্তান কি করে কেন? খবর নেননি। 

সন্ধ্যার পর আপনার সন্তান বাহিরে কি করছে তা আপনারই খেয়াল রাখতে হবে। সমাজের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা একে বারেই কম। আপনারা সচেতন হলেই মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করতে এবং তাদের মেধাবীদের ধ্বংস করতেই বিভিন্ন ধরনের মাদক এদেশে পাচার করা হচ্ছে। 

মাদক উৎপাদনকারী দেশ গুলো মাদক গ্রহণ করছে না। বরং তা ঠেলে দিচ্ছে আমাদের দেশে। মিয়ানমার এবং ভারত দুই দেশে ইয়াবা ও ফেন্সিডিল উৎপাদিত হলেও সেখানকার মানুষ তা গ্রহণ করে না। 

কিন্তু সেইসব মাদক আমাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে। এর একটাই কারণ। তা হলো আমাদের এই উন্নয়নশীল রাষ্ট্রকে ধ্বংস ও এদেশের মেধাবীদের ধ্বংসের এক পায়তারায় মত্ত রয়েছে একটি চক্র। 

শুক্রবার নাসিক ২নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগরেঞ্জ মিজমিজি হাজী আব্দুস সামাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়ের পূর্বে এসব কথা বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহিন শাহ পারভেজ। এসময় তিনি বিভিন্ন রকম মাদকের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন উপস্থিত মুসল্লিদেরকে। 

তিনি বলেন, ধর্ষনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন সয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে। আপনারা দেখেছেন সাংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন। আমি আপনাদের থানার ওসি হিসেবে কর্মরত আছি। আমি সবসময়ই মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান করি। আপনারা সংখ্যায় অনেক।

কিন্তু মাদক ব্যবসায়ি বা সেবনকারীরা সংখ্যায় সীমিত। যদি এই সমাজের সবাই এক হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করেন তাহলে তা নির্মূল করতে বেশি দিন লাগবে না। কোন মাদক ব্যবসায়িকে ধরে সাথে সাথে আমাকে খবর দিবেন। আমি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো। 

আমাদের সমাজ আজ ধ্বংসের পথে, মাদকের যেভাবে ছড়াছড়ি তার কারনে প্রতিনিয়ত অপরাধ কর্মকান্ড ঘটছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য যে পরিমান পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে তা দিয়ে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তাই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে সকলের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।