যেভাবে জঙ্গি হলো ওরা 

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র ২ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠককালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো.মেহেদী হাসান ওরফে মুরাদ (২৪) ও মো.আমানউল্লাহ্ (৩৩)। র‌্যাব-১১’র  মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সূত্র মতে, মো.মেহেদী হাসান ওরফে মুরাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন এলাকায়। সে ২০১০ সালে স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে এবং ২০১৬ সালে ঢাকার  বেসরকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (টেক্সটাইল) সম্পন্ন করে। পরে সে ২০১৪ সালে কথিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জেএমবি’তে যোগদান করেন।

জেএমবি’তে যোগদানের পর নারায়ণগঞ্জসহ দেশেরে বিভিন্ন অঞ্চলে জেএমবি’র সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে আসছিল। সে অনলাইন থেকে উগ্রবাদী বই ও ভিডিও ডাউনলোড করত এবং তা বিতরণ করে জেএমবি’র সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দাওয়াতি শাখার কাজ করে আসছিল।

গ্রেফতার অপর আসামি মো.আমানউল্লাহ্ উগ্রবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জেএমবি’তে যোগদান করে। আমানাউল্লাহ্র বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালী এলাকায়। সে বরিশালের স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে কামিল পর্যন্ত পড়াশুনা সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করত। চাকুরীর পাশাপাশি ছদ্মবেশে জেএমবির দাওয়াতি শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করত। মাদ্রাসায় তার কক্ষটি আলাদা থাকায় সে জেএমবি সদস্যদেরকে নিয়ে গোপন বৈঠক করত।

তারা দীর্ঘদিন যাবৎ গোপনে সংগঠিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলার ও জেল থেকে আটককৃত জেএমবি’র সদস্যদের মুক্ত করার পরিকল্পনা এবং সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।