শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’

প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৯  

আনোয়ার হাসান (যুগের চিন্তা ২৪) : মা পুতুল রানীর কাছেই গানে হাতেখড়ি সুবীর নন্দীর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে। আর লোকগানে বিদিত লাল দাস। ১৯৬৭ সালে সিলেট বেতার দিয়ে শুরু হয় যাত্রা। ১৯৭২ সালে ওস্তাদ মীর কাশেমের সুরে ও মোহাম্মদ মোজাক্কেরের লেখা বাংলাদেশ বেতারে তাঁর প্রথম গান ছিলো ‘ যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’।

 

এরপর গত পাঁচ দশক ধরে খুব যতœ করে গানের ধূপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন এই গুণী শিল্পী। মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর সাড়ে চারটায় চিরকালের জন্য কন্ঠ থেমে গেলেও তাঁর গাওয়া অসংখ্য গান বেঁচে থাকবে অনন্তকাল।

 

নারায়ণগঞ্জে গান গাইতে অনেকবার এসেছেন সুবীর নন্দী। মঞ্চে তিনি একসাথে ৭/৮ টি গান গাইতেন।  শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতেন তাঁর গান। ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন সুবীর নন্দী। 

 

এই শিল্পীর অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে। তার মধ্যে হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে, বন্ধু তোর বারেক নিয়া আমি যাবো, মাস্টার সাব আমার নাম দস্তখত শিখতে চাই, দিন যায় কথা থাকে, আমি পাথরের কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি, পাহাড়ের কান্না দেখে তোমরা তাকে ঝরনা বলো, কতযে তোমাকে বেসেছি ভালো, পাখিরে তুই দূরে থাকলে কিছু আমার ভালো লাগেনা, কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়, নেশার লাঠিম ঝিম ধরেছে, বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গণ্য হলাম, হাবলঙ্গের বাজারে গিয়া, ও আমার উড়ালপঙ্খীরে যা যা তুই উড়াল দিয়ে যা উল্লেখযোগ্য।

 

শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী। ২০০৪ সালে লন্ডনের ‘হাউস অব কমন্স’-এ সব সাংসদের উপস্থিতিতে গান গেয়েছেন তিনি।


 
গত ১৪ এপ্রিল মৌলভীবাজার থেকে ঢাকার পথে ট্রেনে উঠার পর অসুস্থ হন সুবীর নন্দী। এরপর ১৮ দিন ছিলেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। ৩০ এপ্রিল তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। মঙ্গলবার সেখানে মারা যান তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর