শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : আজ ১২ই রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মুসলিম উম্মাহর জন্য এ দিনটি যেমন আনন্দের তেমনি শোকের। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই নারায়ণগঞ্জ নগরীতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়তের উদ্যোগে পালিত হয়েছে ঈদ এ মিলাদুন্নবী। মিলাদুন্নবী উপলক্ষে নগরীতে সকালে জশনে জুলুস বের করেন মুসল্লীরা। 


রবিবার(১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নিতাইগঞ্জ নগর ভবনের সামনে থেকে জশনে জুলুসের একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি চাষাড়া ও মেট্রো সিনেমা হল হয়ে এক নম্বর রেল গেইট ও টানবাজার হয়ে নিতাইগঞ্জে এসে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জশনে জুলুসে এ র‌্যালিতে মিলিত হন। 


শোভাযাত্রা শেষে নগর ভবনের বিপরীত পাশের রাস্তায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন।


এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহের শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী, জশনে জুলুস ঈদ এ মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির জেলার সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।


আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে আজ কোথাও শান্তি নাই। সর্বস্তরে বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও মাদকে সয়লাব এই দেশ। নেতাদের মধ্যে কোন নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শের বিন্দুমাত্র নেই। এর একমাত্র কারণ মহানবী (স.) এর মহান আদর্শ থেকে আমরা দূরে সরে আসছি । আমরা যদি তার সেই আদর্শে চলতে পারি তাহলে আমাদের মধ্যে আগের মত নীতি ও  নৈতিকতা ফিরে আসবে। বর্তমানে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা তা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব হবে।


আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে এ দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন। জীবনের শেষ ২৩ বছর নবুয়্যতের মহান দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩ বছর বয়সে এ মাসেরই ১২ তারিখে তিনি পরলোক গমন করেন।


মহানবীকে (স.) বলা হয় সাইয়্যিদুল মুরসালিন অর্থাৎ সব নবী ও রাসুলের নেতা। তিনি নিখিল বিশ্বের নবী। তার জন্মের সময় আরব দেশ অশিক্ষা, অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ঘোর তমসায় নিমজ্জিত ছিল। এ কারণে ওই সময়কে বলা হয় ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বা অন্ধকারের যুগ’। 


ওই বর্বর যুগে  পৈশাচিক স্বভাবের কালিমাতে মানুষের মানবিক গুণাবলির অপমৃত্যু ঘটেছিল। সে অবস্থা থেকে মানবজাতিকে মুক্তি দিতে মহান আল্লাহ্ তা’আলা হযরত মুহাম্মদকে (স.) পৃথিবীতে পাঠান।পবিত্র কোরআনের সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন, ‘আমি আপনাকে (হযরত মুহাম্মদ) সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’


মহান আল্লাহ্  পুরো মানবজাতির জন্য সর্বাপেক্ষা কল্যাণকর, পরিপূর্ণ জীবন বিধান সংবলিত পবিত্রতম আসমানি কিতাব ‘আল কোরআন’ নাজিল করেন মহানবীর (স.) ওপর। প্রতি বছর ১২ই রবিউল আউয়ালকে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালন করে মুসলিম বিশ্ব। 
 

এই বিভাগের আরো খবর