শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মেয়রকে সেভ করার জন্যই সেদিন মামলা নেয়া হলোনা : শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪):  ২০১৮ সালে মামলা কেন নেয়া হয়নি এই প্রশ্ন রেখে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেন, মেয়রকে সেভ করার কারণেই সেদিন থানায় মামলা নেয়া হলোনা। কিন্তু তিনি সেটা বুঝলেননা। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার লামাপাড়ায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল এমিউজম্যান্ট (নম) পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এই কথা বলেন।     


তিনি বলেন, তখন মেয়র মার খেলো, নারায়ণগঞ্জ থানায় দুইবার গেলো কিন্তু কেন মামলা নেয়া হলোনা। আদালতে যাওয়ার পরও মামলা হলোনা কেন? এটি আমারও প্রশ্ন। কারণ তৎকালীন পুলিশ তাকে (মেয়র আইভী) সেভ করতে চেয়েছে। বুয়েটের এতো বড় চাঞ্চল্যকর ঘটনা যদি ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে সনাক্ত করা যেতে পারে তাহলে সেদিনের ভিডিও ফুটেজ দেখলেও তো প্রমাণ হয়ে যাবে।


প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি হকার ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার জন্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে দায়ী করা হয়েছে। হামলার ঘটনার দীর্ঘ ২২ মাস ১৮ দিন পর আদালতে মামলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফাহমিদা খাতুনের আদালতে মেয়র আইভীকে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তা জি এম এ সাত্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানাকে এজহার হিসেবে গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় ঘটনার দিন অস্ত্র প্রদর্শনকারী নিয়াজুল ইসলাম খান (৫২), নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম (৪৯), সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল (৪৮), মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু (৪৬), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব (৪২), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন (৩২), যুবলীগ কর্মী নাসির উদ্দিন ওরফে টুন্ডা নাসির (৫২), যুবলীগ নেতা চঞ্চল মাহমুদসহ (৫২) ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।


ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল, সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন সাহান, সহসভাপতি বাবু চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে পূর্বের কমিটির সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল ও সেক্রেটারি এম শওকত আলীর নামই সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।  
 

এই বিভাগের আরো খবর