বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আয়োজনে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে মেডিকেল বর্জ্য মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর কোন বিরূপ প্রভাব ছাড়া ব্যবস্থাপনা করণের বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ডি আই টি টোকিও প্লাজার ফুড ফ্যান্টাসি রেস্টুরেন্টে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। 


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহতেশামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু জাহের, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ১৫ নং ওর্য়ার্ডের কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, ৪নং, ৫নং, ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইদ আনোয়ার, সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ মোস্তফা আলী, প্রিজম বাংলাদেশের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাজহারুল ইসলাম,  বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখার সাধারন সম্পাদক মো, তারকি বাবু, প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি মোকাদ্দেস আলী, প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো নিজাম আলী, প্রিজম বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মো.ফাইজুর রহমান প্রমুখ।   


নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইদ আনোয়ার বলেন, পরিবশে দূষণের চরম মাত্রায় পৌছানোর ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ মেডিকেল বর্জ্য। এই বর্জ্য সঠিক উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল প্রতিষ্ঠান গুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক প্রতিবেদন দিতে পারে না। যার কারণে তারা ছাড়পত্র পায় না। মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রিজমের চুক্তিপত্রের কাগজটি পেলেই তারা সময়মতো ছাড়পত্র পেয়ে যাবে।  


বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ১৫ নং ওর্য়ার্ডের কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সিটি করপোরশনের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের মেয়র এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে। আমরা সিটি করপোরেশনের প্রায় ১ হাজার কর্মী দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ টন বর্জ্য প্রতিদিন ডিসপোজাল করি। আগে এই ময়লার মধ্যে মেডিকেল বর্জ্যও ছিল। কিন্তু এখন অধিকাংশ প্রিজম নিয়ে যাচ্ছে।  


৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু জাহের বলেন, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমন্বয় ও পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আমার নিজের হাসপাতালেই আমি প্রায় প্রতিদিন নিজ তদারকিতে বর্জ্য অপসারন করি। এই হাসপাতাল ২০০ শয্যা থেকে ৩০০ শয্যা হলেও এর জনবল বৃদ্ধি হয়নি। যার কারণে হাসপাতালের অনেক কার্যক্রমই সুষ্ঠভাবে সম্পাদন করা সম্ভব হয় না।    


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহতেশামুল হক বলেন, আমাদের  সিটি করপোরেশন মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কাজ করছি। সরকারের উন্নয়নের লক্ষে যে কাজ করছি সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এক্ষেত্রে যারা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে তাদের সঠিক প্রশিক্ষন দিতে হবে।

 

এছাড়া হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো প্রিজমের সাথে শুধু চুক্তি করলেই পরিবশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র পাবে না। তাদের সার্বিক বিষয়ে কিছু শর্ত মেনে কাজ করলেই ছাড়পত্র পাবে। আমাদের একটা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি আছে তাদেরকে বলবো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি মনিটরিং কমিটি করতে হবে। 


প্রিজম বাংলাদেশের প্লান রয়েছে তারা কিভাবে নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর হবে। প্রিজম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠবাবে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৩৩ শতাংশ জমি চেয়েছেন। ইতিমধ্যেই মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আমাদের এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা কাজ করছি। আমরা উপযুক্ত জায়গা পেলেই তাদেরকে হস্তান্তর করব।

 

তারা সেখানে কাজ শুরু করবে। প্রিজম মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিভাবে করছে সেই বিষয়ে আমাদের লক্ষ রাখা দরকার। পরবর্তীতে প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি ও প্রিজমের নিকট  তিনি সিটি করপোরেশনের মধ্যে একটি মেডিকেল প্রতিষ্ঠানও প্রিজমের সাথে বর্জ্য ব্যবস্থানার এই চুক্তি থেকে বহির্ভূত না থাকে এই অনুরোধ করেন।   

এই বিভাগের আরো খবর