বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মেঘনা নদী ভরাটের বালু ৯৬ লাখ টাকায় নিলামে, আটক ২

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকায় মেঘনা নদী ভরাট করে গড়ে তোলা আব্দুল আমান গ্রুপের নির্মাণাধীন ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কতৃপক্ষ।


বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল এগারোটায় নির্বাহী ম্যাজজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক গুলজার আলীর তত্ত্বাবধানে মেঘনা নদীতে চুতুর্থ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।


আমান গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আমান ইকোনোমিক জোনের নির্মাণাাধীন ওই শিল্প কারখানার নামে নদী দখল করে ১শ' ফুট প্রশস্ত ও ছয় হাজার বর্গফুট দৈর্ঘের জায়গা দখলমুক্ত করতে ভেকু দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়। একই সাথে নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ বালু নিলামে তুলে ৯৬ লাখ ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। 


এ সময় নদীর তীরে আমান গ্রুপের বাঁশের বেড়ার সীমানাও ভেঙ্গে ফেলে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ। নদী ভরাট ও দখলের অভিযোগে আমান গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাদিরুজ্জামান ও নির্বাহি পরিচালক (কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স) রবিউল হককে আটক করে বিআইডব্লিউটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত।


উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো: শহীদুল্লাহসহ টেকনিক্যাল বিভগের কর্মকর্তারা। 


বিআইডাব্লিউটিএ-নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক গুলজার আলী জানান, নদী দপ্তরের অনুমোদন থাকলেও এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সরকারি আদেশ ভঙ্গ করে নদীর নির্ধারিত জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণসহ নদীর বিরাট অংশ ভরাট করে ফেলেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 


তিনি আরও জানান, নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারী বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা ফ্রেশ গ্রুপসহ আরও বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হবে।


গুলজার আলী উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার নদী কমিশনের চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন মেঘনা নদী পরিদর্শন করে মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান ইকোনোমিক জোন, ইউনিক গ্রুপ, আল মোস্তফা গ্রুপের পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে নদী দখলের প্রমাণ পেয়েছেন। তারই আলোকে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।


বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর নির্ধারিত সসীমানার অভ্যন্তরে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে নদী দখল করেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মেঘনা নদীতে আরও দুই দিন অভিযান চালিয়ে ছয়দিন ব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান সমাপ্ত করা হবে।


এর আগে গতকাল বুধবার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় নদী দখল করে জাহাজ নির্মাণ শিল্প সম্প্রসারণ করায় ইউনিক গ্রুপের প্রায় ৭লাখ বর্গফুট ভরাট বালু জব্দ করে নিলামে তুলে ২৯লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

এই বিভাগের আরো খবর