বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে রেশন শব্দকে রেশন না বলার প্রস্তাব

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রীকে রেশন না বলে “ভাতা”র মতো অন্য কোন সম্মানজনক শব্দ ব্যবহারের প্রস্তাব করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ৪৮তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এ প্রস্তাব রাখেন। 

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমান্ডের সার্বিক সহযোগিতায় জেলার ৩২ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও ৫০ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সদর উপজেলার ১১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। 


এ সময় জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাগন দেশের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। তাই তাদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রীকে রেশন বললে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়। তাদের সম্মান রক্ষার্থে রেশন শব্দটি পরিবর্তন করে নতুন কোন শ্রুতিমধুর সম্মানজনক শব্দ ব্যবহারের ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তিনি প্রস্তাব পাঠাবেন। 


অতিরিক্ত জেল্ াপ্রশাসক (শক্ষা ও আইসিটি) মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী। 


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেছেন,  বিগত ১০ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আশাতীত উন্নতি হয়েছে। এটা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ধারণার বাইরে ছিলো। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধারের যেভাবে সহযোগিতা করছেন তার জন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।


শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল পর্যন্ত যাতে ক্ষমতায় থাকে সেই কামনা করি। শেখ হাসিনা ছাড়া এদেশে আমাদের কোন গতি নেই। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বলবো তোমরা বারবার শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। বর্তমান জেলা প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধাদের সকল কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতির মতো এতো ত্যাগ পৃথিবীর কোন জাতিকে করতে হয়নি। স্বাধীনতার পটভূমি ২৬ মার্চের অনেক অনেক আগে তৈরি হয়েছিলো। আমাদের দূর্ভাগ্য আমরাই এমন এক জাতি স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে ৩বছরের মাথায় আমাদের স্বাধীনতার জনককে স্বপরিবারে হত্যা করেছি। ইতিহাস বিজয়ীদের কথা বলে। 


৭৫ সালের পরবর্তীতে স্বাধীনতার মূল ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি তারা আজও সক্রিয়। জঙ্গীবাদকে উস্কে দেয়া হয়েছে, আমাদের তরুণদের মাদক তুলে দিচ্ছে তারা। মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে সাথে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন, অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।
 

এই বিভাগের আরো খবর