শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মানি লন্ডারিং মামলায় ব্যবসায়ী জামাল মৃধার ২ দিনের রিমান্ড

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ) : রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার রসুলপুর এলাকার একটি বাড়িতে  অভিযান চালিয়ে নগদ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ‘মাস্টার মশার কয়েল’ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল হোসেন মৃধার মানি লন্ডারিং আইনে মামলায়  ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
 
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীনের আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ।  
 
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীনের আদালত ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
 
প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জের ‘মাস্টার মশার কয়েল’ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল হোসেন মৃধার অভিযান চালিয়ে নগদ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার পিছ ইয়াবাসহ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনজনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

এসময় আটককৃতরা হল- বাড়ি মালিক ও কয়েল ব্যবসায়ী  জামাল হোসেন মৃধা (৪০), তার বড় ভাই মোস্তফা  কামাল ও মানিক মিয়া।
 
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উপ-পরিদর্শক মিজান জানান, জামাল ও মোস্তফা অবৈধ কয়েল কারখানা ও গরুর খামারের আড়ালে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে এক লাখ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি চালান স্থানীয় কয়েল ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে প্রবেশ করবে। এরপর থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই এলাকায় নজরদারি শুরু করে।

মধ্য রাতে জামাল হোসেন মৃধার চার তলা বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্লাটে তল্লাশি চালায়। এসময় একটি ট্রাংক থেকে নগদ এক কোটি টাকা এবং আলমারির ভেতর থেকে আরো পঁচিশ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

একই সাথে বাড়িটির নিচ তলায় জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে দুই হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ভোর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 
 
জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল কারখানার মলিক দাবি করলেও এর কোন বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পানেনি। 

জব্দকৃত টাকার বৈধ কোনো উৎসও দেখাতে পারেননি তিনি।এই টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কয়েল ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলেও সন্দেহ রয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
 
পুলিশ সুপার আরো জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে, ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে মাদকদব্য নিয়ন্ত্রন আইনে এবং আবাসিক এলাকায় কয়েল কারখানা নির্মাণ করে পরিবেশ দূষণের অপরাধে পরিবেশ আইনে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হবে।
 
পাশাপাশি জামাল হোসেন বাড়িতে এতো টাকা কি কারনে রেখেছেন, ইয়াবা ব্যবসা করে কতো টাকার মালিক হয়েছেন এবং তিনি কোন জঙ্গী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। 
 
 

এই বিভাগের আরো খবর