বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মহিলাসহ ৫ জনের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

সোনারগাঁ (যুগের চিন্তা ২৪) : সোনারগাঁয়ে কান্দারগাঁওয়ে মহিলাসহ ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। 


সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব ও পশ্চিম কান্দারগাঁও ব্রীজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 


আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। ঘটনার পর থেকে দিনভর ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্তর পুলিশ মোতায়েম রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 


পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জাকির হোসেন ও জগলু সরকারের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনাও ঘটেছে। 


সম্প্রতি ক্রিকেট খেলা নিয়ে জাকিরের পক্ষের তারা মিয়ার ছেলে জাকারিয়া, মোজাম্মেলসহ ১০-১২জনের একটি দল বজলু সরকারের পক্ষের শাহজালালকে মারধর করে। এ নিয়ে ওই এলাকায় একটি বিচার সালিস হয়। বিচার সালিসের রায় শাহজালালের বিপক্ষে দেয় জাকির পক্ষের দুদু মিয়া ও তাদের অনুসারীরা। 


এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টার দিকে দুদু মিয়া মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় তার দোকানে যাওয়ার পথে কান্দারগাঁও ব্রীজ এলাকায় শাহজালালের নেতৃত্বে শামীম, সবুজ, মাসুম, হাবুল ও আসিফসহ ২০-২৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, দা, রামদা, লোহার রড, হকিস্টিক নিয়ে দুদু মিয়াকে পিটিয়ে বাম হাত ও ডান পা ভেঙ্গে দেয়। ডাক চিৎকারে দুদু মিয়ার আত্মীয় লিটন, তারা মিয়া, মোতালেব ও নুরজাহান বেগম ঘটনাস্থলে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। 


তাদের চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন উদ্ধার করে । পরে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে দুদু মিয়া ও লিটনের  অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। 


আহত দুদু মিয়ার শ্যালক জাকির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বজলু ও জগলু সরকারের লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালিয় আহত করেছে। বিচার সালিসের রায় মন মতো না হওয়ায়  গতকাল সোমবার সকালে অতর্কিতভাবে হামলা করে ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙ্গে দিয়েছে। 


অভিযুক্ত শাহজালালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কান্দারগাঁও এলাকায় জাকির হোসেন ও তার লোকজন একক আধিপত্য বিস্তার করে সাধারণ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। জাকির বাহিনী যুবলীগ নেতা রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করে। তারেকের হাত কেটে নিয়েছে। এছাড়াও তার দলের লোক সাধনকে গলা কেটে বিচ্ছিন্ন করে হত্যার পর আমাদের লোকজনকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের কয়েজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ দু’পক্ষের মধ্যে হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটছে। দু’ পক্ষের আধিপত্যের কারলে হত্যাকান্ড ও অঙ্গ হানির ঘটনা ঘটেই চলছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত। 


সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

এই বিভাগের আরো খবর