শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মহাসড়ক বন্ধ কইরা দিলে খোলার ক্ষমতা কারো নাই : শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে বলতে চাই, আমরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রাস্তা-ঘাট বন্ধ কইরা দিলে কেউ খোলার ক্ষমতা রাখে না। এই খেলা আমাদের খেলার অভ্যাস আছে। এইগুলি নিয়া কেউ খেইলেননা। কারণ ক্ষমতায় আছি আমরা পার্মানেন্টনা, আমি পার্মানেন্টনা। আমরা চাই মানুষ ন্যায় বিচার পাক, আইনের শাসন পাক। 


শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা পরায়ননা। তিনি অমন হলে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের এক রাতে গুলি করে মারতেন। তিনি আইনের শাসনের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। নিরাপরাধ ব্যক্তিতে যদি এক ঘন্টার জন্যও সাজা দেওয়া দেয়া হয় সেইটাই হলো আইনের প্রতি ধর্ষণ। আইনকে ধর্ষিত করা হয়েছে। সেটা সিদ্ধিরগঞ্জে নেতাকর্মীদের জন্য হয়েছে।

 
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের রামকৃষ্ণ মিশনের উল্টোদিকে রাস্তায় ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।    


শামীম ওসমান বলেন, এই জনসভা নিয়ে কেউ কেউ বলেছেন মিটিং কার? এটা শামীমের মিটিং। এটা আওয়ামী লীগের কর্মীদের মিটিং। কর্মী এবং জনগণ আমার চেয়েও বেশি ক্ষমতা আছে। জনগণের চেয়ে অন্য কেউ ক্ষমতাবাননা। কেউ কেউ ভাবে তিনি জনতার চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান। আমাদের শরীরে হারাম নাই। যা আছে হালাল। এই হালাল জিনিস কারো সাথে বেঈমানি করেনা। এইটা অনেকের সহ্য হয়না।


তিনি বলেন, ২১ বছর লেগেছে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসতে। এরমধ্যে অন্তত ৬০ জন ভাইয়ের লাশ আমরা দাফন করেছি। নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেয়ার অপরাধে মাত্র ১২ দিন আগে বিয়ে হওয়া মনিরকে লাশ হতে হয়েছে। সলিমুল্লাহ সড়কে তাকে গুলি করা হলো। আমরা রাজপথে নেমেছিলাম। আমরা পাল্টা গুলি করতে নামিনাই। 


বিজয় স্তম্ভের এখানে তার জানাযা দেয়ার জন্য গিয়েছিলাম যাতে তার লাশটা দলের সম্মানটা পায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রোড দিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করা হলো। ৭০ টা গুলি তার লাশ থেকে বার করতে হয়েছে। কবরস্থানে যেতে পারিনাই। ছোট ভাই পাপ্পুকে হত্যা করা হলো। চানমারিতে এই দুই লাশ আমরা দাফন করেছি। কোথায় ছিলেন আপনারা? যারা এতো বড় মানুষ? এতো বড় বড় কথা বলেন? 


শামীম ওসমান বলেন, প্রশাসনের দিকে বলতে পারি, শুদ্ধি অভিযান চালান। আমি একটা মানুষ। তার মানে এই নয় যে আমার কথায় সবসময় নেতাকর্মীরা চলবে। কারণ সবারই আত্মসম্মানবোধ আছে। হঠাৎ হঠাৎ করে একজনের সাথে সমস্যা হবে । প্লিজ নারায়ণগঞ্জ কিন্তু আওয়ামী লীগ, মানে আগুন নিয়ে খেলা। কেউ আগুন নিয়ে খেলবেননা। কারণ পারবেননা। পারবেননা। কেউ পারবেননা। নিশ্চিত থাকেন। জিয়া পারে নাই, এরশাদ পারে নাই, খালেদা জিয়া পারে নাই আর এটা তো শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা বলেছেন, সব ছাড় দেবো কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মীদের যদি কোন মন্ত্রী, এমপি অসম্মান করে তবে আমি ছাড় দেবোনা। আমিও সেই শেখ হাসিনার কর্মী। একটু ঋণ শোধ করতে চাই। নারায়ণগঞ্জকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই।

    
জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীলের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, য্গ্মু সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বীরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ্ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন বেগম, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, নাজমুল আলম সজল, আব্দুল করিম বাবু, শফিউদ্দিন প্রধান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজিমউদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর