শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মসলার বাজার আবারো গরম

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২০  

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের উদ্ভুত পরিস্থিতিতেও ব্যবসায়িরা বেসামাল হয়ে পড়েছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সব ধরনের মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের দাবী লকডাউনের কারনে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে মসলার দাম। আর ভোক্তাদের দাবী বাজারে তদারকি অভিযান থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা ভ্রুক্ষেপ করছেনা ।

 

তদারকি অভিযান চলে গেলে আবার সেই আগের দামে ফিরে আসেন ব্যবসায়ীরা। অনেক দোকানে নেই মূল্য তালিকা। যে যার ইচ্ছে মাফিক বিক্রি করছেন পণ্য। দ্বিগুবাবুর বাজার, কালিরবাজার, মাছুয়াবাজার খানপুর বউবাজার, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজনিয়ে জানাগেছে, চারশত টাকার জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকা।

 

এছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে এলাচ। আগে ৩৬০০-৪০০০টাকায় বিক্রি হওয়া এলাচ ৪২০০ থেকে ৪৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্য মসলার মধ্যে তেজপাতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। যা আগে বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ১০০০ টাকা কেজির লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে বারশ থেকে ১৪০০ টাকা। 


একইভাবে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা বিক্রি হওয়া দারুচিনি ৪৫০ থেকে ৫৫০ বিক্রি হচ্ছে। ১৪০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া হলুদের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। শুকনো মরিচের দাম বেড়ে ২৫০-৩৫০ টাকা হয়েছে। যা আগে বিক্রি হয়েছে ২০০-২৫০ টাকা। 


এদিকে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম এখনও বেশী। প্রতিকেজি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা, দেশী রসুনের প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।  


ঈদে মসলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী লাগে অন্যতম মসলা জিরা। ঈদ পূর্বে এই মসলার সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হতো। এখন এই জিরা বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৬ টাকা কেজি। অন্যান্য মসলার দামও কোন কারন ছাড়াই বাড়তি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। কেজিতে ২০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। হলুদগুড়া, শুকনো মরিচগুড়ার দামে।  


ঈদে মসলার চাহিদা থাকে বেশী। তাই সব সময় এই ঈদে মসলার দাম বেড়ে যায়। বাজার ঘুরে দেখাগেছে, ইতিমধ্যেই মসলার দাম বাড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা তা মানতে নারাজ। তাদের দাবী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলে তখন দামের হেরফের ঘটে। বাজার ঘুরে দেখাগেছে সরবরাহের কোন কমতি নেই তাপরও কোনকোন মসলার দাম কেজিতে দুইশত থেকে পাঁচশত টাকা পযর্ন্ত বেড়েছে। 


লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি, আলুবোকরা, গোলমরিচ, জায়ফল, জৈতিক, পোস্তদানা, বাদাম, জিরা, তেজপাতা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, সব ধরনের মসল্লার দাম বাড়তির দিকে। ফলে লাগামহীন দামে জনজীবনে বাড়ছে অস্থিরতা। এছাড়া জামা কাপড় ও প্রসাধনীর চেয়ে মসল্লা ও ছুরি চাকু ও বটির দোকানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। 


তবে ক্রেতাদের দাবী ঈদ সামনে রেখে বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেটচক্র। এই ঈদে সবচেয়ে বেশী লাগে মসলা। তাই এই ঈদ এলেই এই চক্র বাজারে মসলার কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে নিজেদের ফায়দা হাসিল করে। এবারও এই চক্র বসে নেই। তবে বাজার মনিটরিং থাকলেও ফায়দা লুটছে এই চক্র। তবে ঈদ সামনে রেখে সিন্ডিকেচক্র বাজার অস্থির করার কাজে লিপ্ত রয়েছে এমনটাই জানাগেছে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর