শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভোটার বিহীন শক্তি সব আশাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে : কাজি মনির

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রথম ধাপ। ১৯৭১ সালের সেই দিনের কথা আমার আজও মনে পরে।

যে লক্ষ্যে নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। সেই লক্ষে পৌঁছাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। একটি ভোটার বিহীন শক্তি আমাদের সব আশাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। 


মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পূর্বে চাষাড়া প্রেস ক্লাব সংলগ্ন বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।  


এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ফতুলাø থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন মোল্লা, খন্দকার আবু জাফর, মনিরুল ইসলাম রবি, মোশারফ হোসেন, আশরাফুল হক রিপন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি নুরন্নাহার, সাজেদা খাতুন মিতা, আয়েশা সাখাওয়াত দিনা, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরিফ মায়া, আনোয়ার সাদাত সায়েম, শহিদুল ইসলাম, বিএনপির সোহেল, ৫ নং ওয়ার্ড যুব দলের সভা শাহাজালাল কালু প্রমূখ।


এসময় তিনি আরো বলেন, আগামীতে হয়তো আমি থাকবো না। হয়তো কোন মুক্তি যোদ্ধারাও বেঁচে থাকবে না। শুধু ইতিহাসের পাতায় আমরা লিপিবদ্ধ থাকবো। গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটার বিহীন ইতিহাসের জঘন্যতম একটি নির্বাচন হয়েছে। তাই এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের স্বাধীনতা আর ফিরে পাবে কিনা জানিনা ।


তাই দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি এই দলের পদে থাকি বা না থাকি তবে এই দলের সাথে আমার আত্তিক সর্ম্পক রয়েছে। শহীদ জিয়ার হাত ধরেই এই দলে এসেছিলাম তার ঘোষনা শুনে ১৯৭১ সালে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। তাই আমার মৃত্যুর পূর্ব মূহূর্ত এই দলের সাথে থাকবো। নিয়ম অনুযায়ী দলের নতুন নেতৃত্ব আসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনাদের হাত ধরেই এই দলের জন্ম আপনাদের হাত ধরে দল এগিয়ে যাবে।

 
এ ছাড়াও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, মানুষ দেশ স্বাধীন করেছিল স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু আজকের এই দিনটি দেখার জন্য বীর বাঙালীরা যুদ্ধ করে নাই। এই গণতন্ত্রের জন্য বীর বাঙ্গালীরা রক্ত দেয় নাই। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে, বন্দি করে রেখেছে গণতন্ত্রকে। 


বন্দি করে রেখেছে মানুষের বাক স্বাধীনতাকে। তাই সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে এদেশের মানুষকে সকল কিছুতে স্বাধীন করতে হবে। তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদের কথা বলার সুযোগ করে দিতে হবে। 


জেলা বিএনপি সহ সভাপতি আব্দুল হাই রাজু বলেন, আজকে স্বাধীনতা ঘোষক জিয়াউর রহমানের কথা মনে পরছে। তাই জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলতে চাই বিএনপির ডাকা সকল কর্মসূচীতে আমরা ঐক্কবদ্ধ হয়ে কাজ করে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার করবো। এবং আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ঐক্কবদ্ধ হয়ে দেশ মাতাকে বের করে আনবো।


জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি এড.আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস বলেন, স্বৈরাচারি সরকারের ভোটার বিহীন নির্বাচন ইতি মধ্যেই শেষ হয়েছে। কিন্তু আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোটার বিহীন সরকারকে পদদুলিত করে আমাদের দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়বো।


নারায়ণগঞ্জ জেলার বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু জাফর বলেন, ভোট বিহীন কারচুপির মাধ্যমে যে নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু দেশ মাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই আমাদের মুল লক্ষ্য। তাই আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান আগামীতে বিএনপির ডাকা যত কর্মসূচী হবে সকল কর্মসূচীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষে ঝাপিয়ে পড়বেন। 


সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেষে জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি বের হয়। পরে র‌্যালিটি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে স্লোগান দিতে থাকে। পরে র‌্যালিটি  চাষাড়ার বিজয় স্তম্ভে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর