মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

ভাগ্নি ডেকে শিশুকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে শিশুটি নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।


শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


এর আগে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফতুল্লার পাগলা রেল স্টেশনের বৈরাগী বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সোহেল (২৬) পলাতক রয়েছে। সোহেল ফতুল্লা পাগলা এলাকার আবুল শরীফের ছেলে।


পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা সিএনজি চালক আর মা গৃহিণী। দেড় মাস আগে অভিযুক্ত সোহেলের পাশের ঘরে ভাড়া নেন তারা। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে তাদের ঘরে আসা যাওয়া ছিলো সোহেলের। শুক্রবার বাদ মাগরিব সোহেল শিশুটির ঘরে ঢুকে কৌশলে শরীর টিপে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে।


এক পর্যায় শিশুটির অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে সোহেল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি কান্নারত অবস্থায় মায়ের কাছে ঘটনাটি জানালে শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা  হয়।


এদিকে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির মায়ের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। শিশুটির মা জানান, সোহেলের পরিবারের সাথে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক বেশ ভালো। এ সুবাদে সোহেলকে মামা ও তার মাকে নানু বলে সম্বোধন করত শিশুটি।


কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুটির মা বলেন, আমার মা নাই তাই সোহেলের মাকেই মায়ের মতই দেখতাম। মেয়েও আমার নানু, মামা বলতে পাগল। আর মামা হয়ে সে কীভাবে এ কাজটা করতে পারলো।


তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সোহেলের মা, স্ত্রী ও আমি রান্না ঘরে একসাথেই ছিলাম আর ও ঘরে খেলছিলো। কিছুক্ষণ পর দেখি মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাস করতে মেয়ে তার পরণের প্যান্টটি আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে সব কথা জানায়। 


পরে বিষয়টি সোহেলের পরিবারের কাছে বিচার দিতে গেলে তারা আমাকে আটকে রেখে আমার সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে। কিন্তু আামি সমঝোতা দিয়ে কি করবো ? আমি বিচার চাই। পরে আমি আমার মেয়েকে দ্রুত হাসাপাতালে ভর্তি করাই।


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আসাদুজ্জামান জানান, শিশুটির অবস্থা এখন ভালো। ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে রির্পোট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে অভিযুক্ত আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


ফতুল্লার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসলাম হোসেন জানান, শিশুটি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত চলছে।

এই বিভাগের আরো খবর