ব্লাকমেইলিং করে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষক গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জের একটি বেসরকারি স্কুলে ব্লাকমেইলিং করে ২০ জনেরও অধিক ছাত্রীকে ৪ বছর ধরে যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে র‌্যাব-১১’র সহকারী পরিচালক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন, বিপিএম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি কান্দাপাড়া মাদ্রাসা রোড এলাকাস্থ অক্সফোর্ড স্কুলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ক্যামেরায় তল্লাশী করে ২০ জনেরও অধিক ছাত্রীর সাথে ধারণকৃত লোমহর্ষক চিত্র জব্দ করা হয়।

ধৃতরা হলো, মাদারীপুর জেলা সদরের শিলখাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম সরকারের ছেলে অত্র স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সরকার ওরফে আশরাফুল (৩০) এবং ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার বাকচর এলাকার মৃত শহিদুল্লা শেখের ছেলে অত্র স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলাম (৫৫)।

এসময় খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈদ, হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

র‌্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আলেপ উদ্দিন জানায়, আমরা সকালে খবর পাই যে সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড স্কুলের এক শিক্ষক বিভিন্ন ছাত্রীদেরকে যৌন হেনস্থা করেছে এই খবরের ভিত্তিতে স্কুলে আসি এবং ঐ শিক্ষককে গ্রেফতার করি। তাকে গ্রেফতারের পরে তার মোবাইলে যে সমস্ত ডকুমেন্টস পাই তা অত্যন্ত ভয়ানক। আমরা ২০ এর অধিক ছাত্রীর সাথে সে বিভিন্ন কৌশল করে ধর্ষণ করার চিত্র মোবাইলে ধারণ করার ডকুমেন্ট আমরা তার মোবাইল এবং বিভিন্ন ডিভাইসে পাই। আমরা আরো কিছু ডিভাইস পেয়েছি যা এখনো চেক করার সম্ভব হয়নি। আমরা এবং সাথে সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থলে আসেন পরে তাকে গ্রেফতার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে আমরা জানতে পারি যে এই স্কুলের যে প্রধান শিক্ষক রয়েছে সে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছে বলে আমরা প্রমান পেয়েছি এজন্য আমরা তাকেও গ্রেফতার করেছি। এই কালপ্রিট শিক্ষক আরিফকে আমরা আইনের আওতায় আনবো। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কার্যক্রম নিচ্ছি।