ব্যবহারিক দিক
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯
আমার কয়েকটি ব্যবহারিক দিক
আছে, এই যেমন, ফুল ফুটলে বা
ঝরে পড়লে, হাত কচলে বেরিয়ে পড়লে
মুদ্রাদোষ, আমি তখনও সঙ্গোপনে একান্ত
নিজের নভোযানে পায়চারী করি,
নত হই আর বিনির্মাণ করে চলি রক্ষাকবচ।
অপ্রেমিকার ব্যবহারিক দিক
প্রেমিকের বসন্ত টাইম ভরে দেয়া,
উসখুস আঙুলের ছিপে ফেলে
তাকে আরো দলা দলা গুড়ের কাছে টানা,
যাতে করে বিশ্বস্ত অনুগামী পিঁপড়েরা
আগামীকাল সিঙ্গেল না থাকে।
যুদ্ধের ব্যবহারিক দিক
মৃত খুলির পাশে নগ্ন শিশুর মগ্নচৈতন্য শিস,
হামাগুড়ি দিয়ে রক্তাভ প্রান্তরে জয়গান
তবু লিখে যাবে, তার শুনানি।
কচ্ছপের ব্যবহারিক দিক
উন্মুক্ত রোদ গায়ে পিঠে মেখে,
খরগোশকে অপবাদ দেয়া।
নদীর ব্যবহারিক দিক
নিজের স্রোতে টেনে নেয় নিজ সংসার,
কিছু আত্মভোলা মানুষের আদর চেয়ে
খুন হয় তার বুক, যে ঔরসে ফেলে ছিলো
বীজ কিম্বা সভ্যতার প্রথম পা,
আজ তার চরাচরে ঝুলে আছে
মৃত্যুর মতন অমিমাংসিত ঘা।
তুমি মানে তোমাকেই বলছি
যাকে নিয়ে কেবল বাজি ধরা যায় !
তোমার ব্যবহারিক দিক হোক
আমার নিত্য সঙ্গী, রহস্যভেদ যেনো
দূর সিলেবাস, হায় !
এই সব কাছে পাওয়ার নিদারুণ যন্ত্রণায়।
মিলন মাহমুদ