বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বেতন পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ, শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২০  

ফতুল্লা ফাহিম অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধের অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শতাধিক শ্রমিক।

 

রোববার (১০ মে) সকাল ১০টায় শহরের চাষাঢ়া এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে   শ্রমিকরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে বেতনের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন।

 

ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জানান,  গত ২৫ মার্চ  করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায়  মার্চের বেতন পরিশোধ করা না করেই গার্মেন্টসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।  বেতন চাইলে পরে বেতন দেয়া হবে বলে জানান।পরে গত ২৬ এপ্রিল গার্মেন্টসে যাই কিন্তু গার্মেন্টস বন্ধ থাকায় আমরা চলে আসি। পরে আজ গার্মেন্টসে গেলে জানতে পারি গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি গার্মেন্টসের ভেতরের মালামালও রাতের আঁধারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন আমরা কোথায় যাব কি করবো। মার্চের বেতন এখনও পাইনি এপ্রিলের বেতন আদৌ পাবো কিনা বুঝতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে আজকে রাস্তায় সামতে হচ্ছে আমাদের।

 

 শ্রমিক মাকসুদা বেগম জানান, আমরা প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিক এ কারখানায় কাজ করি। প্রতিটি শ্রমিকেরই একই অবস্থা। এ সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাব আমরা?

 

এ বিষয়ে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্র্রীয় ও জেলার সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম গোলক জানান, আমি বিষয়টি সকালে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি  ফাহিম অ্যাপারেলস লিমিটেড শ্রমিকদের মার্চ,এপ্রিলের বেতন পরিশোধ না করেই কারখানা বিনা নোটিশে বন্ধ করে দিয়েছে। কারখানার মেশিনারিজ,মালামালও টাকা দিয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এ কারখানার যে দুই মালিক রয়েছে তারা প্রায় সময়ই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা নিয়ে টালবাহান করে আসছে।

 

তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের অভিযোগ রয়েছে তাদের যে আইডি কার্ড কারখানা থেকে দেয়া হয়  যোগদানের সঠিক সময়ে উল্লেখ না করে একেক শ্রমিককে একেক সালের কারো ২০১৫ কারো ২০১৭ কারো আবার ২০১৮ সালের কার্ড দেয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রমিকদের বেতন নিয়ে এরকম নানা কৌশল অবলম্বন করে শ্রমিকদের বেতন আটকে দিচ্ছে।  আমরা এ ধরণের মালিকদের দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কোনো গার্মেন্টস পরিচালিত হোক আমরা তা চাই না। আমরা ফাহিম অ্যাপারেলস সহ অন্যান্য কারখানা  শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।

 

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে কারখানার মালিকের সাথে কথা বললে শ্রমিকদের বেতন দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলে জানান। পরে শ্রমিকরা বেতনের আশ্বাস পেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এই বিভাগের আরো খবর