মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বৃক্ষ

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  

সমগ্র বিশ্বে আজ কিসের আয়োজন?
বিশ্ব বাঁচাতে আজ বৃক্ষের প্রয়োজন।
বৈচিত্র্য জগতের অকূল কাণ্ডারী,
উদ্ধত করে শির, আছে দাঁড়িয়ে সারি সারি।

 

মৃতময় হয়ে সে আবারো জাগে,
ঋতুরাজের আবেশ যখন লাগে।
ঋতুরাজ আসে মাধবী-লতা ফুটে,
পবনে ছড়াই সুরভিত ভ্রমর যেন ছুটে।

 

বক্ষে জড়িয়ে থাকে কত কীট-পতঙ্গ,
বক্ষে আবার আলয় বাঁধে বিহঙ্গ।
শোভিত হয়ে ফুটে পুষ্প ধরে ফল,
মোহিত করে গন্ধ আর রসে অতল।

 

বৃক্ষে যা ফলে তা হয় সেবন,
পুষ্পগুচ্ছ পায় স্থান দেবতার চরণ।
আছে দাঁড়িয়ে সহস্র কোটি কাল হয়ে স্থির,
রুক্ষ ধরা কুসুমিত করতে সে এক বীর।

 

নিঃশ্বাসে দূষণ ধরনীর বুকে দীর্ঘশ্বাস,
বৃক্ষ পরিদল করিল তা হ্রাস।
মুছাইয়া দূষণ জগত ভরিলো সবুজ সমাহার,
সুধাময় রুপ-মাধুরী বৃক্ষের বাহার।

 

স্রষ্টার জগতে যত মহামারী হইলো প্রাদুর্ভাব,
গাছ-গাছালির পথ্যে হয়েছে তা সব।
এলো টর্নেডো, এলো হারিকেন সর্বগ্রাসী,
তছনছ করতে মানবকূল-মানববাসী।
ক্ষত-বিক্ষত হয়ে তবুও আছে দাঁড়িয়ে,
মানব জীবন বাঁচাতে মূর্তিময়ী জাগিয়ে।

 

বৃক্ষ বানিয়েছে বিধাতা মানবের সেবাতে,
সেই বৃক্ষ বিনাশ করে মানব প্রতিঘাতে।
এই বৃক্ষ কেটে বিলাসী মানব বানাই ভবন,
শূন্য হচ্ছে বৃক্ষ,বাড়চ্ছে আবাদীতে গণ।

 

পরিবেশে কমছে নির্মল বায়ু,
দূষণের চাপে কমছে আয়ু।
প্রজন্মের এত নিষ্পাপ কোমল প্রাণ,
আজি নিচ্ছে তারা দূষণে রোগাক্রান্ত নভস্বান।

 

যদি এ জগত করতে চাও পরিপাটি তুমি,
প্রান্তরে প্রান্তের লাগাও বৃক্ষ হবে প্রাঞ্জল ভূমি।
আদি হইতে বিদীর্ণ ভূমির ধরেছে হাল,
বৃক্ষই রাখিবে বাসযোগ্য ভূমি চিরকাল।


সাগর দেব