মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

বুদ্ধিজীবী দিবসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪):  ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ছাত্র সমাবেশ ও শহরে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সসকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

 

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি জেসমিন আক্তার, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক মুন্নি আক্তার, নারায়ণগঞ্জ কলেজের আহ্বায়ক রায়হান শরীফ, সংগঠক মাহফুজুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ রাতুল।


 
সমাবেশে বক্তার বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজকের দিনেও খুবই প্রাসঙ্গিক। বিজয় দিবসের ঠিক দুইদিন আগে পাকিস্তানি শাসকরা যখন বুঝতে পারল যে বাঙালিদের বিজয়  সুনিশ্চিত, তখন আল বদর, আল শামস বাহিনী বাঙালিদের বুদ্ধিভিত্তিক কর্মপ্রক্রিয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক, গবেষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়।তাদের লাশ রায়েরবাগ ও মিরপুরের বধ্যভূমিতে রাখা হয়। তাদের লাশ যাতে শনাক্ত করা না যায় এমনভাবে তাদের উপর নির্যাতন করে মুখের চেহারা বিকৃত করা হয়। আত্মত্যাগী বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে আমরা নারায়ণগঞ্জে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানাই।


 
বক্তারা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ রাজধানীর পাশের গুরুত্বপূর্ণ শহর। এখানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী বসবাস করে,অথচ এখানে কোন পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় নেই। মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষার জন্য জেলার বাইরে শিক্ষার্থীদের ছুটাছুটি করতে হয়। নারায়ণগঞ্জে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়  সেময়ের জনপ্রিয় দাবি। মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্খা একটি সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু শাসক গোষ্ঠী মূল আকাঙ্খা থেকে সরে গিয়ে দেশ পরিচালনা করায় বাণিজ্যিক ও সাম্প্রদায়িক শিক্ষা আজ রমরমা। তৈরি হয়েছে ধনীদের জন্য একরকম আর গরীবের জন্য আরেকরকম শিক্ষা।  

 

এ সময় নেতৃবৃন্দ শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, বেসরকারিকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরো খবর