বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিতরণে অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা,আরো ১০০টন চাল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ:ডিসি

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : করোনা কোভিড-১৯ কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে সেখানে অনিয়ম বা পক্ষপাতিত্ব করে অনুপুযুক্ত কোন লোক বা পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হলে তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। তিনি এবিষয়ে সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য আহবান জানান। এরইমধ্যে আড়াইহাজারে একজন মেম্বারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বল তিনি জানান।  কোভিড-১৯ ভাইরাস এর সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বিষয়ে রোববার (২৯ মার্চ) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

 

জেলা প্রশাসক  প্রধানমন্ত্রী’র সহায়তায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আরো নগদ ২ লাখ টাকা এবং ১০০ (একশত) মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানান।
 
জেলা প্রশাসক জানান, সকাল এগারটায় তিনি কাঁচপুর বিসিক শিল্প নগরীতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং উপ-পরিচালক (উপসচিব) ও স্থানীয় সরকার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ তাদের স্ব-স্ব এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি জানান।
 

তিনি সাংবাদিকদের জানান, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সামাজিক দুরত্ব নিয়ন্ত্রনে জনসচেতনতা মূলক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের আইন ভঙ্গের শাস্তি সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে, বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টিন কার্যক্রম যথাযথভাবে চলছে এবং সন্ধ্যায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায়/মহল্লায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
 
এসময় সাজেদা হাসপাতালে আইসিইউ প্রস্তুত আছে জানিয়ে তিনি ২৯ মার্চ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরেন।
 

তিনি জানান, করোনা ভাইরাসে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ জন, এর মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন ২জন, আইসোালেশনে  আছেন ১জন, কোন মৃত্যু নেই। নতুন করে কোন আক্রান্ত নেই। হোম কোয়ারেন্টিনে মোট ৩৫২ জনের মধ্যে নতুন ১৫ জন। কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়প্রাপ্ত মোট ১৩৯ জন এর মধ্যে আজ ছাড়া পেয়েছে ৪২ জন। পহেলা মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ৫ হাজার ৯৬৮ জন। এরমধ্যে ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত মোট ২৮০জন।
 

জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র ৬টি, চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড ৩০টি, ডাক্তার ৯০ জন, নার্স ১৭৩ জন ও এম্বুল্যান্সের সংখ্যা ৬টি। বেসরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র ৭২টি, প্রস্তুতকৃত বেড ৭২টি, ডাক্তার প্রস্তুত ১০০জন, নার্স ১৮০জন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রি (পিপিই) বিতরণ করা হয়েছে ৪৪৮টি, মজুদ আছে ১৪০টি। এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৫৫০ পরিবারের মধ্যে ৭৫.৫ (পঁচাত্তর দশমিক পাঁচ) মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৯ লাখ ২৫ হাজার (নয় লাখ পঁচিশ হাজার) টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এই ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর