শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিকেল ৫টার মধ্যে ইজতেমা ময়দান খালি করতে হবে

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : তাবলীগ জামাতের ৫৪ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এখন তুরাগ নদীর তীরের ইজতেমা ময়দান খালি করার পালা। কারণ দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে ইচ্ছুকরা শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকেই আসতে শুরু করবেন। তাই তার আগেই প্রথম পর্বের অনুসারীদের ময়দান খালি করে দিতে হবে।


এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিকেল ৫টার মধ্যেই ইজতেমা ময়দান খালি করতে হবে। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


জিএমপি কমিশনার বলেন, যেহেতু তাবলীগের অভ্যান্তরীণ সমস্যার জন্য ইজতেমা দুই পর্বে ভাগ করা হয়েছে। সেহেতু এক গ্রুপেরটা শেষ হলে অন্য গ্রুপকে সুযোগ দিতে হবে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি হতে পারে সেজন্য আলাদা আলাদা আখেরি মোনাজাতের ব্যবস্থাও করা হয়।


অথচ প্রথমের দিকে ইজতেমা তিন দিন এবং আখেরী মোনাজাত একটাই হওয়ার কথা ছিল। দুই পক্ষের আবেদনের কারণেই ইজতেমা বাড়িয়ে চারদিন এবং আখেরী মোনাজাত দুটো করা হয়। উভয় গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের মুরুব্বিরাও একে অপরকে সুযোগ দেওয়া এবং সহযোগিতা করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যা প্রশাসনের কাছে রয়েছে।


কমিশনার বলেন, প্রথম পর্বের ইজতেমা পরিচালনা করেছেন মাওলানা জোবায়েরপন্থী অনুসারীরা। ইজতেমা শেষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জোবায়ের ইসলাম। তারা ইজতেমা ময়দান খালি করলে সাদপন্থীরা দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করবেন।


 যতক্ষণ ময়দান খালি হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বের জন্য কাউকে প্রবেশ বা পরিচালনা কোনোটাই করতে দেওয়া হবে না। পুলিশসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি তদারকি করছে। 


কেবলমাত্র ময়দান খালি থাকা সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিদর্শন শেষে দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে। এজন্য ময়দান খালি করতে সর্বোচ্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তবে মাওলানা জোবায়েরপন্থী শীর্ষ মুরুব্বিরা কথা দিয়েছেন বিকেল ৫টার আগেই তারা ইজতেমা ময়দান খালি করবেন। যাতে অন্য পক্ষও ইজতেমা করার সুযোগ পায়।


র‌্যাব-১ এর সিও (কমান্ডিং অফিসার) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘তাবলীগের দুই পক্ষকেই আমরা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলাম যাতে কোনও পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করে বক্তব্য না দেন। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে নিয়ে যাতে কটাক্ষ না করেন। 


সেই অনুযায়ী মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা বয়ান এবং ইজতেমার অভ্যন্তরে প্রতিপক্ষ গ্রুপকে কটাক্ষ বা উস্কানিমুলক কোনো কথা বলেননি। আশা করছি পরে যারা ইজতেমা পরিচালনা করবেন তাও নির্দেশনাগুলো মেনেই ইজতেমা শেষ করবেন।’


বিকেল ৫টার মধ্যে ইজতেমা ময়দান খালি করতে হবে এবং সেব্যাপারে জোবায়ের পন্থীরা খালি করার সকল প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানান র‌্যাবের এই সিও।


রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর থেকেই ৫৪ তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদপন্থীরা। সোমবার (১৮  ফেব্রুয়াারি) দ্বিতীয় দফা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা।


এর আগে বিশ্ব ইজতেমা নিয়েবৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানে নিজেদের গ্রুপিংয়ের কারণে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ঘটে তাহলে সে দায় তাবলীগের মুরুব্বিদের। এরকম হলে কাউকে বরদাস্ত করা হবে না।

এই বিভাগের আরো খবর