বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের প্রতিবাদ মিছিল 

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের আইনজীবীদের মতামতের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার, এবং সুষ্ঠু ংিংনর্বাচন আয়োজনের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবরা। রোববার দুপুরে (১২ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতপাড়ায় এই প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা। 

 

কালো ব্যাজ পড়ে নির্বাচন কমিশন পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এসময় তারা আদালতপাড়ায় তারা মিছিল বের করে। মিছিলে ‘অবৈধ নির্বাচন কমিশন মানিনা, মানবোনা’; ‘আদালত অঙ্গণে বহিরাগতদের মানিনা, মানবোনা’; ‘আজ্ঞাবহ কমিশন মানিনা, মানবোনা’ বলে স্লোগান তোলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। 


আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যে এজিএম হয়েছে তা নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে বর্তমান কমিটি। গায়ের জোরে আইনজীবীদের ভয় পেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা না করে বাকি কমিশনারদের নাম ঘোষণা না করে চলে গেছে। ৯০ ভাগ আইনজীবী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আইনজীবীরা যাদের ভোট দেবে তারাই নির্বাচিত হবে। 


ডাবল গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচনে বর্তমান কমিটি যেভাবে নির্বাচনকে কুলষিত করছে, সবখানেই সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করছে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমিতিতে কি হচ্ছে। আইনজীবীদের ভোটকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করে তারা কুক্ষিগত করতে চায়। প্রধান নির্বাচন কশিনার যাকে করা হয়েছে তিনি গতবার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারেনি, তাই তার পদত্যাগ দাবি করছি। 


আদালতকে কুলষিত করছে বহিরাগতদের দিয়ে। আইনজীবীদের দিকে পেশী শক্তি প্রদর্শণ করছে। এটা কোন দলীয় বিষয় নয়, এটা আইনজীবীদের বিষয়। ভোটের অধিকার আদায়ের বিষয়। বৃহস্পতিবারের এজিএমকে সাধারণ আইনজীবীরা প্রত্যাখান করেছে, তারা ‘তলবী’ সভা আহবান করার জন্য তৈরি হচ্ছে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে ‘তলবী’ সভায় নতুন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবো।     


মিছিল শেষে বক্তব্যে আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি এড.আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ভূঁইয়া বলেন, ‘এজিএম কলঙ্কিত হয়েছে। গত নির্বাচনে এই নির্বাচন কমিশনার দেড়টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিলো। আপনারা জানলে অবাক হবেন, ১২০টা ব্যালট পেপার তাদের এপি, জিপির নেতৃত্বে তাদের হাতে চলে গিয়েছিলো। ৮৭০টা ভোট কাস্ট হয়েছিলো এরমধ্যে তারা ৮৯২টা ভোট তারা পেয়েছে। 


কমিশনার একদিন আগে ব্যালট পেপার তুলে দিয়েছে। এখন আবার নির্বাচন শুরু হতে না হতেই সকাল থেকেই বহিরাগতরা আদালতে শোডাউন করছে, আইনজীবীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কোনক্রমেই আমরা এই ভূয়া কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবোনা।


আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড.সরকার হুমায়ূন কবির বলেন, গত বৃহস্পতিবার এজিএমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাদে আর কারো নাম বলে নাই। তুমুল বিরোধিতার মুখে এই প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি তারা হল থেকে পালিয়ে গেছে। গতবার এই নির্বাচন কমিশনার সঠিক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে নাই, তাই তাদের মানিনা। তাদের হাতে নির্বাচন ছিলোনা। 


যারা পাশ করেছে তারাই তাদের ভোট দিয়েছে। নির্বাচন কশিনার বসে বসে শুধু আনন্দ ফুর্তি করেছে। আইনজীবীদের শতকরা ৯০/৯৫ জন এই নির্বাচন কশিনারকে মানেনা। এরআগে এড.আসাদুজ্জামান আসাদ, এড.মাহবুবুর রহমান মাসুম, এড.কামরুন্নাহার সঠিকভাবে নির্বাচন করেছিলো। তাই দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাদের সমর্থন দেয়। বর্তমান সভাপতি, সেক্রেটারি অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা অবৈধ নির্বাচন কমিশন চায়। আমরা এটা এইবছর হতে দেবোনা।


যাদের নাম নির্বাচন কমিশনে এসেছে তারা যাতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তবে তাদের ধন্যবাদ জানাই। আর যদি তারা অর্থের লোভে কমিশনার থাকতে চায় তবে তাদের ঝাড়ুপেটা করে বাদ দেবো। 


আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি এড.জাকির হোসেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এই মহল নির্বাচনকে কুলষিত করার জন্য অবৈধ পন্থায় আইনজীবীদের প্রটোকলের উর্ধ্বে থেকে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আখতার সাহেবকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে তাকে বলতে চাই, তিনি সবার প্রিয় মানুষ, আপনি কেন বিতর্কের মধ্যে জড়িত হয়ে এখনো নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বলবৎ আছেন। 


আপনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন নয়তো আমরা আপনাকে ধিক্কার জানাবো।আইনজীবীদের ভোট হবে সুন্দর, এখানে কোন চক্রান্ত চলবেনা। আইনজীবীরা পরস্পর ভাই, সকলের ভোটে যে নির্বাচিত হবে সেই হবে আমাদের নেতা। ভোটকে পায় বলে তারা চক্রান্ত করে। আইনজীবীদের ছিনিমিনি খেললে আইনজীবীরা বসে থাকবেনা। বহিরাগতদের চোখ রাঙানিতে আমরা পথ ছাড়বোনা। আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনা। আইনজীবীদের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে হবে।’
 

এই বিভাগের আরো খবর