বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রপ, লিংক রোডের দুই পাশে ময়লার স্তূপ

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের দুইপাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ময়লা বাড়তে বাড়তে বিশাল স্তূপে পরিণত হচ্ছে। ময়লার কারণে পুরো ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড মশার প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। মশার উপদ্রপে অতীষ্ট লিংক রোডের নিকটবর্তী এলাকাবাসী। লিংকরোডে ময়লা ফেলা নিষিদ্ধ হলেও সদর উপজেলার ফতুল্লা, কুতুবপুর, এনায়েতনগর ৩টি ইউনিয়নের ময়লা এ সড়কে ফেলা হচ্ছে।   


স্থানীয়দের মতে, অতিরিক্ত ময়লার কারণে মশার উপদ্রপ দিন দিন বেড়েই চলছে। আর অতিরিক্ত মশার কারণে সকলের মাঝে ডেঙ্গুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই ভয়ে দিনের বেলাতেও  কয়েল ব্যবহার করছে।


সরজমিনে দেখা যায়, সড়কটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নম পার্কের বিপরীতে গরুর পঁচা চামড়া পড়ে আছে। পুরোপুরিভাবে চামড়া এখনও অপসারণ করা হয়নি। অধিকাংশ চামড়া পানি নিষ্কাশনের খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ময়লার বিকট দুগর্ন্ধে সড়কে দাঁড়ানো দায়। লিংকেরোডের বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলে রাখা হয়েছে। লামাপাড়া মোড়ে, ফতুল্লা স্টেডিয়ামের পাশে, নম পার্কের বিপরীতে, জালকুড়িতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পের বিপরীতে, ভূইগড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত আরো ৪ টি স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। ময়লার স্তূপে মশা-মাছি ভনভন করছে।


লিংকরোডে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়িাম, পরিবেশ অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কলকারখানা পরিদর্শকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। লিংকরোডে ময়লা আবর্জনা ফেলতে ফেলতে পানি নিষ্কাশনের খাল মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ফলে আশেপাশের বাড়ির মানুষেরা ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্কে নিয়ে আছে। 


লামাপাড়া এলাকার একজন বাসিন্ধা নাসরিন আহমেদ। তার বাড়ির সামনেই ময়লা রয়েছে ময়লা*-আবর্জনার স্তূপ।  নিজেদের দুর্ভোগের বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, চারিদিকে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। আর আমি থাকি মশা জন্মানোর স্থানে। অতিরিক্ত মশা হয়ে গেছে। রাতে তো কয়েল লাগে আবার দিনেও কয়েল জালায় রাখি।


একই এলাকার বাসিন্ধা মিজান। লিংক রোডের পাশেই রয়েছে তার মুদি দোকান। ময়লার ভোগান্তি নিয়ে বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই কষ্টকর। চলাচল করার সময় মানুষের দম বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে এখানে ঘরে বসে দোকান চালাই কেমনে বলেন ? কষ্ট হয় অনেক এখানে বসে থাকতে।
ভোগান্তির শিকার জালকুড়ি বাসিন্ধা রুহুল আমিন বলেন, পুরা রাস্তাতেই ময়লা। রাস্তাটাই ময়লার ভাগাড় হয়ে গেছে। রাস্তায় একটানা পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলে সে মানুষ অসুস্থ হবেই। জ্যামে পড়লে মুখে কাপড় দিয়েও গন্ধ সহ্য করতে পারি না। আর এখন সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় ডেঙ্গু।খালে ময়লা-আবর্জনা পড়ে সেখানে মশা জন্মাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের এই দিকে নজর দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের কিছুই করতে দেখছি না।


সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে একাধিক স্থানে সড়কে ময়লা ফেলা নিষিদ্ধ করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। কিন্তু সাইনবোর্ড থাকলেও সড়কে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ময়লা অপসারণের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


 সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক এ বিষয়ে বলেন, দীর্ঘদিনে লিংক রোডের ময়লার স্ত’পের সৃষ্টি হয়েছে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। পর্যায়ক্রমে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর