বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাসদের ‘কমিউনিটি কিচেন’র ২২ দিনে বাম রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২০  

করোনা দুর্যোগে ছিন্নমূল নিরন্ন মানুষদের একবেলা খাবারের কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জে বাসদের কমিউনিটি কিচেন কার্যক্রমের আজ ২২ তম দিনে উপস্থিত হয়েছেন জেলার প্রধান বাম রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। গত ২ মে ২ নং রেলগেইটস্থ দলের জেলা কার্যালয়ে শুরু হওয়া কমিউনিটি কিচেন কার্যক্রমের শনিবার (২৩ মে) ২২ দিন অতিবাহিত হয়েছে। 


শতাধিক মানুষকে একবেলা খাওয়ানোর মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ইতিমধ্যে এ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করে বর্তমানে দলের জেলা, পাগলা আঞ্চলিক ও গাবতলী-পুলিশ লাইন কার্যালয়ে ৩ শতাধিক ছিন্নমূল মানুষকে নিয়মিত খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। 


আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বাসদ সমন্বক নিখিল দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিমল কান্তি দাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার সভাপতি মাহমুদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক আনোয়ার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি আবু ন্ঈাম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ ফতুল্লা থানার সমন্বয়ক এমএ মিল্টন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার প্রমুখ। 


জেলার প্রধান বাম রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কঠিন সংকটে দিনযাপন করছে। সরকারি অপ্রতুল ত্রাণ, প্রভাবশালীদের ত্রাণ আত্মসাৎ, দলীয়করণ ইত্যাদির কারণে দরিদ্র মানুষের অভাবের খুব সামান্যই পূরণ হয়েছে। এ দুর্যোগে বাসদের কমিউনিটি কিচেন কার্যক্রমের মাধ্যমে এতগুলো নিরন্ন মানুষকে নিয়মিত একবেলা খাবার তুলে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছে। দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরা রান্না করে এতগুলো মানুষকে খাবার পরিবেশন করছে তা অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। 


নিখিল দাস বলেন, শহরের ছিন্নমূল ভাসমান মানুষ, প্রতিবন্ধী, পথশিশুদের অবস্থা শোচনীয়। লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এরা প্রায় অনাহারে দিনযাপন করছে। এদের দুরাবস্থার কথা চিন্তা করে বাসদ জেলা শাখার উদ্যোগে আমাদের সীমিত সামর্থ্যরে মধ্যে শতাধিক মানুষের একবেলা খাবারের কার্যক্রম শুরু করা হয়। নিরন্ন মানুষের চাহিদা থাকায় এবং সমাজের বিবেকবান মানুষের সহায়তা পাওয়ায় বর্তমানে আমাদের ৩টি কার্যালয়ে  ৩শতাধিক মানুষের একবেলা আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাজের মানুষের সহযোগিতায় আমরা দুর্যোগকালীন সময়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা রাখি।

এই বিভাগের আরো খবর