শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাসদের ‘কমিউনিটি কিচেন’ কার্যক্রমের ২০ দিন 

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২০  

করোনা দুর্যোগে ছিন্নমূল নিরন্ন মানুষদের একবেলা খাবারের কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জে বাসদের কমিউনিটি কিচেনের ২০ দিন অতিবাহিত হয়েছে বৃহস্পতিবার (২১ মে)। 


গত ২ মে শহরের ২ নং রেলগেইটস্থ দলের জেলা কার্যালয়ে শতাধিক মানুষকে সন্ধ্যায় একবেলা খাওয়ানোর মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। খাদ্যগ্রহণকারী ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ায় এ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করে বর্তমানে দলের জেলা, পাগলা আঞ্চলিক ও গাবতলী-পুলিশ লাইন কার্যালয়ে সর্বমোট প্রায় ৩০০জন ছিন্নমূল মানুষকে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। 


আজকের আয়োজনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, জেলা বাসদ সমন্বক নিখিল দাস, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি আবু ন্ঈাম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ ফতুল্লা থানার সমন্বয়ক এমএ মিল্টন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার প্রমুখ। 


এসময় মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, বাসদ সবসময়ই সমাজের বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কাজ করে। এ করোনা দুর্যোগের শুরু থেকে বাসদ দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। বর্তমানে তাদের এই কমিউনিটি কিচেন কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্যোগের সময়ে এতগুলো নিরন্ন মানুষকে নিয়মিত একবেলা খাবার তুলে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্তের সাক্ষর রেখেছে। আমি তাদের মহৎ উদ্যোগের সাফল্য কামনা করছি এবং দলের নেতা-কর্মী যারা নিজেরা এত মানুষের রান্না করে খাবার পরিবেশন করছে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।


নিখিল দাস বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সবধরণের শ্রমজীবী মানুষ কঠিন সংকট কাটাচ্ছে। সরকারি অপ্রতুল ত্রাণ, প্রভাবশালীদের ত্রাণ আত্মসাৎ, দলীয়করণ ইত্যাদির কারণে দরিদ্র মানুষের অভাবের খুব সামান্যই পূরণ হয়েছে। এরমধ্যে শহরের ছিন্নমূল ভাসমান মানুষ যাদের পারিবারিক অবস্থান নেই, প্রতিবন্ধী, পথশিশুদের অবস্থা শোচনীয়। লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এরা প্রায় অনাহারে দিনযাপন করছে। এদের দুরাবস্থার কথা চিন্তা করে বাসদ জেলা শাখার উদ্যোগে আমাদের সীমিত সামর্থ্যরে মধ্যে শতাধিক মানুষের একবেলা খাবারের কার্যক্রম শুরু করা হয়। নিরন্ন মানুষের চাহিদা থাকায় এবং সমাজের বিবেকবান মানুষের সহায়তা পাওয়ায় বর্তমানে আমাদের ৩টি কার্যালয়ে প্রায় ৩০০ মানুষের একবেলা আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাজের মানুষের সহযোগিতায় আমরা দুর্যোগকালীন সময়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা রাখি।

এই বিভাগের আরো খবর