শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বারভবন’র কাজ শেষ করাই প্রধান লক্ষ্য : এড. মোহসীন 

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : নির্বাচনে বিজয়ী হলে ডিজিটাল ৮ তলা বারভবন নির্মাণ কাজ শেষ করাই হবে প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এড.মোহসীন মিয়া। সোমবার যুগের চিন্তাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান। 


মোহসীন মিয়া বলেন, আমরা প্রথম থেকেই আইনজীবীদের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেগুলো আমরা রাখতে পেরেছি। ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের কাজের অগ্রগতি অনেকাংশে হয়েছে। ইতিমধ্যে  সাংসদ সেলিম ওসমান তাঁর প্রতিশ্রুত ৩ কোটি টাকা আইনজীবী সমিতিকে দিয়ে দিয়েছেন।


তিনি বলেছেন, আইনজীবীদের জন্য একটি ভবন তৈরি করে দিবেন, এবং সেটি দিবেন। নির্বাচিত হলে আমার প্রথম দায়িত্ব ও লক্ষ্য থাকবে আইনজীবীদের এই স্বপ্নের ভবনটির কাজ যতদ্রুত এগিয়ে নেয়া। বিজয়ী হতে পারলে দায়িত্ব পালনে এটিই অন্যান্য কাজের চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে।

  
দুই কোর্ট একসাথে রাখার ব্যাপারে আওয়ামী প্যানেলের এই আইনজীবী নেতা বলেন, মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদের এখানে সরেজমিন পরিদর্শন করে বলে গিয়েছেন দুই কোর্ট একসাথেই থাকবে। এটি অনেকটা মিমাংসিত বিষয়। সিজেএম কোর্ট করার জন্য গণপূর্তের সামনের জায়গাটি মন্ত্রী মহোদয় নিজে দেখে গেছেন। 


যেহেতু আইনজীবীদের বৃহৎ স্বার্থের কথাটি সবসময় আমরা ভাবি সেহেতু এখানে ভিন্ন কোন চিন্তার অবকাশ নেই। মাননীয় সাংসদ শামীম ওসমান এই ব্যাপারটিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তিনিও এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। সুতরাং দুই কোর্ট একসাথেই থাকবে, এটি অন্য কোথাও যাচ্ছেনা।

নির্বাচিত হতে পারলে দায়িত্ব পালনের সময় কোন নতুনত্ব আসবে কিনা এমন প্রশ্নে মোহসীন মিয়া জানান, আমাদের বর্তমান পর্ষদ আইনজীবীদের মৃত্যুকালীন সহযোগিতা ফান্ড, সমিতির মেডিক্যাল ফান্ড হতে আইনজীবীদের সহযোগিতায় সচেষ্ট ছিলাম এবং আছি। বেনাভোল্টেড ফান্ড, জেনারেল ফান্ড, কর্মচারী কল্যাণ তহবিল, লইয়ার্স ডিপোজিট পেনশন স্কীম (এলডিপিএস) এর কার্যক্রম সফলভাবে চলছে। 


এছাড়া বারের সফটওয়্যার যেটির মাধ্যমে প্রত্যেক আইনজীবীর আলাদা আলাদা একাউন্টস লেজার তৈরি করা হয়েছে, এখান থেকে আইনজীবীগণ যে কোন সময় তার হিসাব চেক করতে পারবেন, বারের যে কোন ফান্ডে টাকা জমা প্রদান করলে বা ওকালতনামা, জামিননামা, হাজিরা ক্রয় করলে আইনজীবীরা তা নিজ নিজ মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে জমা করা অর্থের তথ্য (মানি রশিদ নম্বরসহ) সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়া এর মাধ্যমে ডাটাবেজ আপডেটও চেক করতে পারবেন।  


মোহসীন মিয়া বলেন, এছাড়া আমরা আইনজীবীদের জন্য স্মার্টকার্ড, ডাইরেক্টরী তৈরি করেছি। আমি যদি নির্বাচিত হই তবে এর সাথে আমি চেষ্টা করবো আমাদের বারে যাতে একটি অত্যাধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তোলার ব্যাপারে। এটি করতে পারলে আইনজীবীরা সমৃদ্ধ বইয়ের মাধ্যমে নিজেদের আরো সমৃদ্ধ করতে পারবেন। 
 
 

এই বিভাগের আরো খবর