শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাবুরাইলে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে শিশুর পর মা’র মৃত্যু

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : শহরের বাবুরাইল এলাকায় একটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়ে নিহত শিশুর পর তার মা  ফেরদৌসী বেগম (৩০) মারা গেছেন। 

সোমবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মঙ্গলবার সকালে শহরের পাইকপাড়া কবরস্থানে নিহতের দাফন সম্পন্ন করেন।   

গত ২৭ মার্চ ভোরে বিস্ফোরণে গৃহবধুর ৮ মাস বয়সী শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিশুটির বাবাসহ আরো দুই ভাই বোন আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারটির আহত চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

নিহত ফেরদৌসী বেগম বাবুরাইল বটতলা এলাকার স্থানীয় ইট বালুর ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী।

আহত তোফাজ্জল হোসেনের খালাতো ভাই রাকিব উদ্দিন জানান, গত ২৭ মার্চ ভোরে শহরের তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে এই মর্মান্তিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

তোফাজ্জল হোসেন (৫০) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩০) তাদের তিন সন্তান হালিমা বেগম (১১) মোহাম্মদ হোসেন (৯) ও আট মাসের শিশু সন্তান আহাম্মদকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

তিন সন্তান নিয়ে ফেরদৌসী ছিলেন এক রুমে আর তোফাজ্জল হোসেন ছিলেন পাশের রুমে। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বিকট শব্দে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হলে দেয়াল ধসে পড়ে। 

এতে দেয়াল চাপা পড়ে পবিরারের পাঁচজনই গুরুতর আহত হন। তাদের ঘরের আসবাবপত্র সব চুরমার হয়ে যায়। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আট মাস বয়সী শিশু আহাম্মদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

অপর চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ফেরদৌসী বেগম ও তার দুই ছেলে মেয়েকে আইসিউতে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সোমবার দিনগত রাতে ফেরদৌসী বেগম মারা গেছেন।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, ওই এলাকার সড়কের নীচে গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকেই তোফাজ্জল হোসেন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের বিস্ফোরণ হয়েছে। তাদের পাশের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকও বিস্ফোরণ হয়েছে তবে কেউ হতাহত হননি। 

এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের হোসেন জানান, এই গ্যাস পাইপ লিকেজের ব্যাপারে ইতিপূর্বে তিতাস কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছে। 

তবে তারা সেটি মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যার কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে লিকেজ থেকে নির্গত গ্যাসে মানুষের ফেলা দেয়া বিড়ি সিগারেটের আগুন থেকে প্রায় সময় ছোটখটো অগ্নিকান্ড ঘটে থাকে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর