মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

বাবুরাইলে ভবন ধস : নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি তদন্ত, গ্রেফতার নেই

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ১০ দিনেও কোনো অগ্রগতি নেই নারায়ণগঞ্জে ১নং বাবুরাইল মুন্সিবাড়ি এলাকায় ভবন ধসের চারতলা ভবন ধসে দুই স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনায়। পুুলিশের  দাবি, আসামীদের ধরতে তাদের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি এ ঘটনার তদন্তও। তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, তদন্তের সময় বাড়ানো হয়েছে।


এর আগে গত ৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় ভবন ধসে নিহত হয় শোয়েব (১২) ও ইফতেখার আহমেদ ওয়াজেদ (১২)। এ ঘটনায় সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে নিহত স্কুলছাত্র শোয়াবের মামা রিপন হোসেন বাদী হয়ে বাড়ির মালিক ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  


এদিকে এ ভবন ধসের ঘটনায় ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকায় চারতলা ভবন ধসে দুই স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা আকতারকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।  কিন্তু ঘটনার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও ফতুল্লা পুলিশের কাছ থেকে কোনো অগ্রগতির সংবাদে পাওয়া যায় নি।


এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেহানা আক্তার যুগের চিন্তা ২৪ কে জানান, তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে এ সময়টা ঠিক কতদিন বাড়ানো হয়েছে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেহানা আক্তার কিছু জানানি।


অন্যদিকে, এ ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে জানিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায় নি। ঘটনার দিন থেকে তারা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।


তিনি আরো জানান, বাড়ির মালিকের মধ্যে দুই জন  মালোশিয়ায় অবস্থান করছে। আসামীরা যেখানেই থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ভবনটির মালিকানাধীন রয়েছে জয়বুন্নেছা বেগম ও তার চার সন্তান- আজহার হোসেন, শিউলি বেগম, বাবু ও সুমন। এ পাঁচ মালিকের মধ্যে দুই মালিক আজহার হোসেন ও বাবু মালেশিয়া প্রবাসী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।


জানা যায়, এই ভবনের মালিক বাবুরাইল এলাকার মৃত মো. রফিকের স্ত্রী জয়বুন্নেছা। তারা চার ছেলেমেয়েসহ তাদের ৩টি পরিবার থাকেন। নিচতলায় শুধু ভাড়াটিয়া ছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, শনিবার আসরের আজানের পর ভবনটি হেলে পড়ে। এ সময় বাড়ির মালিকদের কেউই ছিলেন না।


ধসে যাওয়া ভবনটির পাশের ভবনের বাসিন্দা তাসলিমা জানান, ধ্বসে পড়া বিল্ডিংটি এমনিতেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলো। নিচে তেমন কোনো বেসমেন্ট ছাড়াই ভবনটির চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ চলছিল। এই কারণেই ভবনটি ধসে পড়ে।
 

এই বিভাগের আরো খবর