বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাউল শিল্পী শরীয়তের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা বাতিল ও বাউল শিরীয়ত সরকারের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে সমাবেশ করেছে সাংস্কৃকিতক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।  সোমাবার (২০ জানুয়ারী) বিকালে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 


সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন’র আহবায়ক সংহতি ঘোষ রমার সভাপতিত্বে এবং ইবনে সনির সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সিপিবির হাফিজুল ইসলাম, সমমনার দুলাল সাহা, উদিচি’র সভাপতি জাহিদুল হক দিপু, খেলা ঘরের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মহাসিন, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি, বাতায়ন সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্টু সুজয় রায় চৌধুরী প্রমুখ। 


নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী  শংকর রায় বলেন, বাউল শিল্পীরা তাদের গানে মাধ্যমে আধাত্তিক সাধনা করে থাকে তাদের প্রতিটি সাধনার মধ্যে একটি  অসাম্প্রদায়িক চেতনা থাকে তারা গানের মাধ্যমে পরম আত্মার সন্ধান করে। বাউল শিল্পী শরীয়ত গানের আসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেছে, সুরের কথা বলেছে। সেই জন্য তাকে ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা কিসের আলামত? এটা হচ্ছে আমাদের শিল্প সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেয়ার আলামত। মুক্তবুদ্ধি ধ্বংস করে দেয়ার আলামত। 


সমমনা’র সভাপতি দুলাল সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বলতে সারা বাংলা দেশ কাপিয়ে তুলছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ কে নিয়ন্ত্র করার জন্য চেষ্টা করছেন। এই যে একটি সাংঘষিক ঘটনা সাঘর্ষিক ঘটনা। প্রত্যেকটি  মানুষ তার নিজের কথা প্রকাশে বলবে মুক্তচিন্তা, মুক্তবুদ্ধি সেটাকে নিয়ে দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু তা নয় মুখে বলে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা ।

 

আর ডিজিটাল আইনকে নিয়ন্ত্রের জন্য কথা বলছেন। কারণ টা কি? কারণ একটাই ক্ষমতায় থাতে হবে। ক্ষমতায়  থাকার জন্য যখন যেমন তখন তেমন। সেই অনুযায়ী কাজ করতে যারা ছিলো স্বাধীনতা বিরুধী করতো , যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করতো। যা এখন যারা করছে তাদের সাথে বর্তমান সরকার ঘাট ছারা বেধে আছে।


হাফিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের প্রভাব শুরু হয়েছে। এই জঙ্গী বাদের প্রভাবের কারণেই একজনের মুখের কথা আরেক জন্য গ্রহণ করতে পারে না। সেই কারণে বাউল শিল্পী শরিয়ত সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছ। তাকে যদি ইসলাম অবমাননার কারণে গ্রেফতার  করা হয়ে থাকে তাহলে,  শরিয়ত কে যারা গ্রেফতার করেছে তারা ইসলামকে অবমাননা করেছে। তারা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শুধু হেফাজত ইসলমি আর তালতলিরা যা বলবে তাই ইসলাম নয়। যারা বলবে নারাীরা পুতুলে মতো তাদের কথা যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে চলবে না। 
 

এই বিভাগের আরো খবর