বাংলার মানচিত্রে লেখা যে নাম সে তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
পৃথিবীর বুকে মানুষ রূপে ভূমিষ্ট হলেও আদর্শবান, পরোপকারী, খ্যাতিমান, মানবদরদী, দেশপ্রেম, জনপ্রতিনিধি সম্মানে সবাই ভূষিত হতে পারে না। আকৃতিগত দিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মানুষরূপী হয়েও অনেকেই মিরজাফর, দেশদ্রোহী ও নির্যাতিত চরিত্রের হয়ে থাকে। যার ভিতরে মনুষত্ববোধ, দেশপ্রম জাগ্রত হয় সেই প্রকৃত মানুষ ও আদর্শের প্রতীক।
আজ দেশসহ বিশ্বে জননন্দিত, মানবদরদী ও দেশপ্রেমি ব্যক্তি হিসেবে একবাক্যে পরিচিত যে নাম তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শৈশব জীবন থেকেই নীতি ও আদর্শের সাথে বেড়ে ওঠা তার। তিনি এই বাংলার কৃষক শ্রমিক, মেহনতি মানুষের মনের কথাগুলো অতি সহজেই বুঝতে পারতেন। সামাজিক আন্দোলন, পেশাজীবী আন্দোলন, ন্যায় অধিকার আদায়ে সর্বদা এগিয়ে এসে সবার পাশে জোড়ালো ভূমিকা রাখতেন দাবি আদায়ে। বঙ্গবন্ধু এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য তৎসময় একজন তুখোর নেতা হিসেবে চারিদিকে পরিচিতি লাভ করেন।
বাংলাসহ ভারতবর্ষে বিভিন্ন আন্দোলনে তার অংশগ্রহণ ভূয়ষী প্রশংসনীয়। এক সময় বাংলার গন্ডি পেড়িয়ে বিশ্বের অনেক দেশে জোড়ালো বক্তব্য দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী ভূমিকা দেখে বাংলার মানুষ গর্ববোধ করতেন। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডকে পাকবাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করার জন্য বাঙালী প্রাণের মায়া ভুলে স্বাধীনতার যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন সকল বয়সী নারী-পুরুষ।
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে বিজয়ের বার্তা ছড়িয়ে দেন বিশ্বের বুকে। বিজয়ের লাল সবুজের পতাকায় ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত লাল বৃত্ত ও সবুজ শ্যামল বাংলার খচিত যে পতাকা আজ শোভা পাচ্ছে সেই হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ আমরা গর্ব ভরে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সেই স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। বাংলার এ ভূ-খণ্ডে জন্ম হওয়া শেখ মুজিবুরকে পেয়ে আমরা গর্বিত। দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য তার আত্মত্যাগ কখনো ভুলার নয়।
তার জোড়ালো বজ্রকণ্ঠের ধ্বনি আজো আকাশে-বাতাসে প্রবাহমান। বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসেনার অকৃত্রিম প্রচেষ্ঠায় স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মহান এই নেতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী রাজনীতি করে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনেক কর্মসূিচ পালন করা হচ্ছে। মহান এই নেতার কর্মময় জীবনীকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ববোধ বলে মনে করি আমরা। তাই তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন বিষয় রং তুলিতে, কাব্যকথায়, গানের মধ্য দিয়ে, চলচ্চিত্র প্রদর্শনে ও ভাস্কর্যে বাঁচিয়ে রাখতে চাই আজন্ম। মহান এই নেতার প্রতি রইল জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালবাসা। যুগে যুগে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুক আমাদের এই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মো.শাফিকুল ইসলাম আরজু
লেখক : কবি ও সাংবাদিক
মোবাইল : ০১৬৭৭-১১৬৪৬১
- H2o নিয়ে আমরা হাসি, দিন শেষে আমাদের নিয়ে হাসে তারা!
- একজন তরুন কবির চোখে বঙ্গবন্ধু
- আশীর্বাদ না অভিশাপ কিং মেকার!
- একজন বাঙালী মা ও মুক্তিযুদ্ধ
- আজ গৌর পূর্ণিমা, শ্রী চৈতন্য দেবের আবির্ভাব তিথি
- দীপাবলী শ্যামাপূজা ও বাঙালি নারী
- পরিবেশ সুরক্ষা ও নান্দনিক পরিবেশ বাস্তবায়িততেই -সামাজিকের অগ্রগতি
- নারী দিবসের তাৎপর্য নেই
- সাইফুল্লাহ বাদল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক
- শেখ হাসিনার একটি বাড়ি একটি খামার বিষয়ক আশ্রয়ণ প্রকল্প
- মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুলালকে দাদা’র প্রার্থী ঘোষণা
- বসন্তে বাসন্তী পূজার ইতিবৃত্ত
- রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায়
- পোষ্টার লাগানোর সময় বৈধ, পরে অবৈধ!
- বায়ুদূষণ রোধে করণীয়