বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বাংলাদেশের প্রথম সাইকেল লেন

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : বাড়ছে মানুষ, রাড়ছে না সড়ক তবু যানজটের লাগামহীন বেড়ে চলায় অতিষ্ট নগরজীবন। কখনো কখনো সুখের কোন আভাস মিললেও টেকসই পরিকল্পনা থাকে না বলে বেশিদিন সুবিধা নিতে পারে না নগরবাসী। নতুন সুখের খবর হলো প্রথমবারের মতো রাজধানীতে তৈরি করা হচ্ছে সাইকেল লেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) যানজটের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এ পরিকল্পনা করেছে।

 

জ্বালানিবিহীন, পরিবেশ বান্ধব এ পরিবহন এখন থেকে চলবে আলাদা লেনে। ফলে একই সাথে যানজট যেমন কমবে তেমনি দুর্ঘটনাও কমবে অনেকাংশে। উন্নত দেশগুলোর বাসিন্দারা বহু আগে থেকেই এ বাহনের দিকে ঝুঁকেছে। ডেনমার্কের শহরগুলোর ৫০ ভাগ মানুষই যাতায়াত করে বাইসাইকেলে।

 

ডিএনসিসি বলছে, ঢাকায় দিন দিন বাইসাইকেলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সে চিন্তা করেই পাইলট প্রোগ্রাম হিসেবে রাজধানী আগারগাঁওয়ে নয় কিলোমিটার লেন তৈরি করছে ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উত্তরপ্রান্ত থেকে এলজিইডি সড়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পর্যন্ত এই লেন তৈরির কাজ চলছে।

 

ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত ২৮৫ মিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে তাই স্বাধীনতার মাসেই সাইকেল আরোহীদের জন্য লেনটি খুলে দেয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বাইসাইকেল লেনের জন্য ৫ ফুট জায়গা লাগে তবে ডিএনসিসি ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ছয় ফুট প্রস্থের লেন তৈরি করছে।

 

ডিএনসিসির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান সাইক্লিস্টরা। তারা বলছেন, যানজটের এই নগরে বাইসাইকেল চালানো অনেক কষ্টসাধ্য এবং ঝুঁকিপূর্ণও বটে।একজন সাইকেল আরোহী বলেন, শুধু এ এলাকায়ই নয় পুরো ঢাকা শহরে এরকম আলাদা লেন থাকলে মানুষ গাড়ি ছেড়ে সাইকেলেই ঝুঁকবে। ফলে কমে আসবে যানজট। তাছাড়া এ বাহনটি পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মতও।

 

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, আমরা ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তুলতে চাই, এ উদ্যোগটি তারই একটি অংশ। পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত শহরের মতোই ঢাকা শহরকে গড়তে চাই। এ জন্য চাই নাগরিক সহযোগিতা। সবাই নিয়ম মেনে চললে সবকিছুই করা সম্ভব।

এই বিভাগের আরো খবর