বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাংলাদেশের নিশানায় এবার অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : ওয়েস্ট উইন্ডিজ বধের পর বিশ্বময় প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাকিব-লিটনরা। কিন্তু এখানেই থেমে যেতে চান না স্টিভ রডসের শিষ্যরা। সেমিফাইনালের দিকেই তাদের স্বপ্নীল দৃষ্টি। তাই প্রস্তুতি নিচ্ছে আরও বহুদূরের পথ অতিক্রম করতে। কিন্তু এবার বিরতিটা খুব কম সময়ের। গতকালই বিজয়ী বেশে নটিংহামের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে টাইগাররা। আজ নামবে অনুশীলনে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারই নামতে হবে মাঠে। এবার প্রতিপক্ষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। সেমিতে যেতে বাংলাদেশের সামনে ওই ম্যাচেও জয়ের বিকল্প নেই।

 

বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটিয় পরিসংখ্যানের হিসাবে অজিদের থেকে যোজন যোজন দূরে টাইগাররা। যেখানে অস্ট্রেলিয়া চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, সেখানে বাংলাদেশ এখনও সেমিতেও যেতে পারেনি। প্রথমবারের মতো যে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে, তাও সবশেষে বিশ্বকাপে। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া এমন একটি দল, যে দলের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অতীতে জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। ২০০৫ সালের জুনে কার্ডিফে পন্টিং-ম্যাকগ্রা-গিলক্রিস্ট-হেইডেনদের সর্বজয়ী দলের বিপক্ষে জিতে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। 

 

এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়টা বহু আরাধ্যই থেকে গেছে। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে টেস্টে হারানো সম্ভব হলেও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জন্য এখনো বহু দূরের আকাশের তারা।

 

২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ যে মহাকাব্যিক জয় পেয়েছিল, তার নায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন, বাংলাদেশ যেখাবে খেলছে, সাকিব-লিটনরা যেরকম ফর্মে আছে, তাতে কাল বাংলাদেশ জিতলে মোটেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আশরাফুল বলেন, অস্ট্রেলিয়াকে মোকাবিলার আগে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও সর্বশেষ ওয়েস্ট উইন্ডিজকে মোকাবিলা করেছে। সুতরাং বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাজে দেবে। বিশেষ করে অজি ফাস্ট বোলারদের নিয়ে এখন খুব একটা আতঙ্কিত হওয়ার নেই টাইগারদের। 


সাকিবরা ইতোমধ্যে সবচেয়ে বেশি গতির বোলারদেরও মোকাবিলা করেছে। ফলে এখন ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে যেভাবে বাংলাদেশ খেলেছে, যদি তারা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, তবে জয় আমাদেরই হবে। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক তারকা স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাকিব যেভাবে খেলছে, তা আগ কখনো দেখিনি। 

 

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সব খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষাও ছিল আক্রমণাত্মক। তাই এই শরীরি ভাষা ধরে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, অজিরা আগে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ পেলে শারীরিক ভাষা দিয়ে ভয় দেখনোর চেষ্টা করবে। স্লেজিং করে নার্ভাস করার চেষ্টা করবে। তবে এখানে বাংলাদেশকে ঘাবড়ে গেলে হবে না। বরং উল্টো আক্রমণাত্মক পারফর্ম দেখিয়ে তাদের পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে দিতে হবে। তবেই আমরা জয়ের আশা করতে পারি। 

 

ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের পর এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয় দলের বোলারদের গতি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। কারণ, আমরা ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলারদের খেলেছি, খেলেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের। দুই দলেরই ১৪০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি গতিতে বোলিং করা ফাস্ট বোলার আছে। এ বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার পর আমরা যদি মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রাখতে পারি, তাহলেই হবে। আমি মনে করি, আমরা যথেষ্ট ভালো দল। 

 

এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের আছে।’ লিটনও অস্ট্রেলিয় ফাস্ট বোলারদের নিয়ে নির্ভার। তিনি বলেন, ‘এশিয়ান দলের বিপক্ষে সবাই শর্ট বল করা চেষ্টা করে। ১০ শর্ট বলের আমরা ৫টায় সফল হই, ৫টায় হই না। এশিয়ার বাইরের দলগুলো স্বাভাবিকভাবে এটা আমাদের বিপক্ষে চেষ্টা করবে। ওদের গতিময় বোলার আছে। আজ যেভাবে সামলে খেলেছি, পরের ম্যাচেও একইভাবে খেলতে হবে।’

এই বিভাগের আরো খবর