শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বহুমুখী সংকটে বিপর্যস্ত বন্দরের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২০  

বন্দর (যুগের চিন্তা ২৪) : নানা মুখী সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বন্দরের প্রাথমিক  শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষক স্বল্পতা, দুর্নীতি, কোচিং বাণিজ্য পাঠদানে অমনোযোগিতা, কারণে অকারণে ক্লাসের বাইরে অবস্থান, ঝড়ে পড়ার হার বৃদ্ধির কারণে শিক্ষার মান কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছেনা। 

অনেক  অভিভাবক তাদের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেনে  নিয়ে ভর্তি করছেন। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। 

বন্দরে চুয়াত্তরটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে  ছয়টি  বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে ৬২টি।   

সরেজমিনে প্রতিবেদন তৈরির সময় কবি নজরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকমহল। কবি নজরুল স্কুলে নয়জন শিক্ষক রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকসহ সবাই নারী শিক্ষক। 

শিক্ষকরা অধিকাংশ সময় টিচার রুমে খোশগল্পে মেতে থাকেন বলে অভিভাবকরা জানান।ধামগড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ৭১নং আমৈর কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।  

নিয়ম অনুযায়ী ১জন প্রধান শিক্ষক, ৪জন সহকারি শিক্ষক, ১জন প্রাক প্রাথমিক শিক্ষক ও ১জন দপ্তরী থাকার কথা থাকলেও  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চলছে প্রধান শিক্ষক বিহীনও দপ্তরীবিহীন। 

বর্তমানে বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক ৩জন থাকলেও সরকারি বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার  কারণে প্রায়ই স্কুলটিকে ১ বা ২ জন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস চালানো হয়। 

এ ছাড়া  প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে  দুই শিক্ষকের  মধ্যে ঝগড়া ও অন্তঃকোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও  ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান জানান, ‘শিক্ষক সংকট আছে বিষয়টি সবার জানা। আমরা উপজেলায় শিক্ষকের জন্য কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। আগামী কিছুদিন পর সরকার নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে, তখন আমরা ১জন শিক্ষক পাবো বলে আশ্বাস পেয়েছি। তখন এ সমস্যা কমে যাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।

এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন জানান,  আমৈর স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে একটি মামলা বিচারাধীন আছে, নিস্পত্তির আগে স্কুলটি প্রধান শিক্ষক পাচ্ছেনা। 

আর ১জন সহকারি শিক্ষক অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক সংকট সেখানে আছে। সরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগ আগামী কিছুদিন পর হতে যাচ্ছে। তখন অত্র স্কুল ১জন সহকারি শিক্ষক পাবে’।

এই বিভাগের আরো খবর