বন্ধের দিনে ঈদের বাজার জমে উঠেছে, উপচে পড়া ভীড়
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৯
জহিরুল হক (যুগের চিন্তা ২৪) : বন্ধের দিন হওয়ায় নগরীর বিপণী বিতানগুলোতে ঈদের কেনাকাটার জন্য মানুষের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর সমবায় মার্কেট, শান্তনা মার্কেট, মার্ক টাওয়ার, ফ্রেন্ডসমার্কেটসহ প্রায় সবগুলো বিপণীবিতান ঘুরে ক্রেতাদের এ উপচে পরা ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে এর ভেতর উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতাই বেশি। শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বেতন না হওয়ায় ক্রেতাদের একটি বড় অংশ বিপণীবিতানগুলোতে আসেননি বলে জানান বিপণী বিতানের মালিকরা। সামনের সপ্তাহে ঈদের সেরা বিকিকিনি হওয়ায় প্রত্যাশা করছেন তারা।
শুক্রবার সরেজমিন নগরীতে ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর শপিংমল, মার্কেট, ফুটপাতসহ সবখানে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সরকারি ছুটির দিনে সকাল থেকে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ । ক্রেতারা তাদের সেরা পছন্দের পোশাকটি নেয়ার জন্য দেখে নিচ্ছেন। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সকলেই মাকের্টগুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
দোকানে সাজানো রঙ বেরঙের তৈরি পোশাকগুলোর থেকে নিজের পছন্দের পোষাকটি কিনে নিতে ক্রেতারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তবেই কিনছেন। দোকারীরাও থরে থরে সাজানো রঙে বেরঙের বিভিন্ন ডিজাইনের তৈরি পোশাকগুলো সাজিয়ে রেখেছেন ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ।
চাকুরীজীবী মো.সালাউদ্দিন বলেন, ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সবার জন্য জামাকাপড় কেনাকাটাও একান্ত প্রয়োজন। পরিবারে সবার একসঙ্গে একই দিনে কাপড় কেনা সম্ভব নয়। তাই আজ বন্ধের দিনে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বের হয়েছি। কেনাকাটা একটু এগিয়ে রাখছি ।
বাবা-মায়ের সাথে পছন্দের পোষাক কিনতে এসেছেন ৯ বছর বয়সী রঞ্জু। তারা সরকারি চাকুরীজীবী আমির হোসেইন বলেন, মেয়ের পোষাকই পছন্দ হচ্ছেনা। কয়েক মার্কেট ঘুরে দুটি ড্রেস কিনেছি। আরেকটি কেনার জন্য বায়না ধরেছে। তার পছন্দসই শেষ জামাটি এখনো কিনতে পারিনি। সে জামা না কিনে বাড়ি ফিরবেনা।
পোষাক বিক্রেতা হিমেল হৃদয় বলেন, আজ সারাদিনই দোকানে ক্রেতাদের ভিড় আছে। প্রচুর বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে এমনিতেই ১০ রমজান থেকে বেচাকেনা ভালো। শুক্রবার হওয়ায় ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। তাই দোকানে অতিরিক্ত লোকও রাখা হয়েছে যাতে ক্রেতাদের কোন হয়রানি না হয়। এরপরেও কারো দম ফেলবার ফুসরত নেই। সামনের সপ্তাহে এরচেয়ে কয়েকগুণ বেশি বেচাবিক্রি হওয়ার আশা করছি।
গার্মেন্টস, মিলকারখানার শ্রমিকদের বেতন ভাতাদি পরিশোধ হবে সামনের সপ্তাহের শেষ দিকে। এরপরপরই তারা নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে শুরু করবেন। তবে যাবার আগে পরিবারের প্রিয় মানুষের ও নিজেদের জন্য কেনাকাটা সারবেন নারায়ণগঞ্জেই। প্রায় প্রতিবছর এমনটিই লক্ষ্য করা গেছে। বেতন ভাতাদি পরিশোধ শেষে ঈদের ছুটি হতেই মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের কয়েকগুণ চাপ পড়তে পারে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন বিপণীবিতানগুলোর মালিক ও কর্মচারীরা।
- এসপি হারুনকে সরানোর নেপথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- নারায়ণগঞ্জের লজ্জা ঢাকলেন শামীম ওসমান
- সমাবেশ করার অনুমতি চায়নি শামীম ওসমান
- শামীম ওসমানের শঙ্কা ছিলো ভিকিকে ক্রসফায়ার দেয়া হতে পারে
- ডা.শাহনেওয়াজ, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, জামাতা করোনায় আক্রান্ত
- কাকে ভয় দেখালেন শামীম ওসমান
- ৫ ইউনিয়নকে নাসিকে যুক্ত করা হচ্ছে : মেয়র আইভী
- জাপা নেতা পিজা শামীমকে মারধর করলেন সেলিম ওসমান (অডিওসহ)
- যুগান্তরের প্রার্থী তালিকা ভিত্তিহীন : গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে না’গঞ্জের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ !
- ছাত্রজীবনের সেই তিনজনেই এখন এমপি, ডিসি, এসপি (ভিডিও)
- ‘গাইড বই’ চালাতে স্কুলে স্কুলে ঘুষ!
- পুরোনো রূপে ফিরছে নারায়ণগঞ্জ
- কেন্দ্রে যাচ্ছেন আইভী
- করোনায় আক্রান্ত দুই সহোদর থাকেন না’গঞ্জ, বাড়ি মুন্সিগঞ্জ