শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছায় লকডাউন

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার ( যুগের চিন্তা ২৪ ) : নারায়ণগঞ্জ জেলাকে ইতিমধ্যে অনির্দিষ্টকালের লকডাউন ঘোষণা করেছে (আইএসপিআর )। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হলো । তবে জরুরি পরিষেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।

 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে । বন্দরে করোনাভাইসের সংক্রমণ রোধে থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে স্থানীয় প্রশাসন নানা নির্দেশনা দিলেও তা খুব একটা আমলে নেয়নি সাধারণ মানুষ।

 

তবে গত কয়েকদিন ধরে নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত ও মৃত্যুতে করেনাভাইসের ভয়াবহতা বুঝতে পেরেও সচেতন হচ্ছে না সাধারণ জনগণ।

 

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে বন্দরের উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন , ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লা এবং গ্রামের রাস্তার মোড়ে মোড়ে এলাকার স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছায় অঘোষিত লকডাউন করে রেখেছেন। বন্দরের জায়গাতেই দেখা মিলছে একই চিত্র।

 

বৃহস্পতিবার ( ৯ এপ্রিল ) লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই  বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বাইরে থেকে আসা মানুষের যাতায়াতও সীমিত করছে এলাকাবাসী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না।

 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মহল্লাবাসীরা বলেছেন, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার প্রবেশ পথে যাতায়াতকারীদের হাত ধোয়ারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে না পারে।

 

সরজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার প্রধান সড়কের প্রবেশ মুখে অবস্থান করছে একদল যুবক। যাতায়াতকারীদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ানোসহ প্রতিটি যানবাহনে জীবানুনাশক স্প্রে করছে তারা। এছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন গলির প্রবেশ মুখে বাঁশ ও টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে মুসাপুর ইউনিয়নের শাহিন মিয়া জানান, বিনা প্রয়োজনে কেউ বাইরে না যেতে পারে। তার জন্য তারা এই ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা সকলে একজন একজন করে এখানে অবস্থান করে এবং বহিরাগত কেউ যেনো তাদের এলাকায় না ঢুকতে পারে। সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও জরুরি মুহূর্তে এই গেইট খুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

এবিষয়ে ২৫নং ওয়ার্ডের রাজু আহমেদ জানান , আমাদের রাস্তা বন্ধ করার কারণ হলো- আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তা ব্লক করে দিছি। যাতে কোনো মানুষ এসে আমাদের এলাকায় করোনাভাইরাস না ছড়াতে পারে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  বন্দরের পাঁচটি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনের নয়টি ওয়ার্ড একই চিত্র। প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লার প্রবেশমুখ বন্ধ করে সামাজিক লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয়রা।

এই বিভাগের আরো খবর