বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বন্দরে লকডাউনের পাশ্ববর্তী এলাকায় উৎসবের আমেজ

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২০  

লতিফ রানা (যুগের চিন্তা ২৪) : পাশ্ববর্তী একটি এলাকা রসুলবাগ লকডাউন হওয়া সত্ত্বেও শুক্রবার রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় লোকসমাগম ও অকারণে লোকজনকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। গণজমায়েতে এখানে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। 

 

মোবাইলে গেম খেলায় বিভিন্ন জায়গায় বসছে উঠতি বয়সের যুবকদের আড্ডা।  তারা যেন করোনা সতর্কতার মর্মই বুঝতে পারছেনা। করোনায় নারায়ণগঞ্জের প্রথম মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১০০ পরিবারসহ লকডাউন করা হয়েছে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকা থেকে মাত্র দুই থেকে তিনশত গজ দক্ষিণের এলাকা রসুলবাগ। 

 

করোনা বিস্তার রোধ নিশ্চিতের চেষ্টায় প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে জামাল সোপ গুদারাঘাটসহ (বরফকল ঘাট) এলাকায় প্রবেশের সকল সড়ক পথ। লকডাউন নিশ্চিত করতে আছে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা। সেখানে পরের দিন অর্থাত শুক্রবার রাতেই লকডাউনের পাশর্^বর্তী এলাকা নবীগঞ্জে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। 


বিকেল বেলায় বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় মোবাইল গেম খেলতে একসাথে আড্ডা মারছে অল্প বয়সের কিছু যুবক। ছিলনা কোন সতর্কতা বা সামাজিক দুরত্বের বালাই। সচেতন মানুষের কাছে এই লোক সমাগম যেন একটি আসন্ন ভয়াবহ চিত্রের পূর্বাভাস। 

 

রাত প্রায় সাড়ে নয়টা। নবীগঞ্জ বাজার থেকে একটু পূর্ব দিকে আগালেই দক্ষিণে রসুলবাগ এলাকার দিকে চলে গেছে একটি রাস্তা। এখানকার তিন রাস্তার মোড়েই দেখা গেল লোকজনের দল বেধে আড্ডাসহ অবাধ চলাচল। 

 

এসময় সতর্কতার কথা জিজ্ঞেস করলে এক তরুণ বলে উঠে, কি-যে কন ভাই, সারাক্ষণ কি আর ঘরে বসে থাকতে মন চায়। পাশে দাড়ানো আরেক তরুন বলে উঠে, আরে ভাই আমাদের কিছু হবে না। যাদের হওয়ার এমনেই হবে। 

 

একটু সামনের এক ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনছেন আরাফাত নামের এক প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। তিনি জানান, ভাই এদের সাথে কথা বলে লাভ নেই। আমরা আমাদের এলাকায় ঔষধ না পেয়ে বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি তারপরও দুরত্ব বজায় রাখার ভয়ে আছি। 


রাস্তার এসব আড্ডার জন্য যারা একটু সচেতন, কিন্তু বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়, তারা যে একটু দুরত্ব বজায় রেখে চলবে সেই উপায় নেই। এই রাস্তায় যদি প্রয়োজন ছাড়া লোক বের না হতো, তা হলে আমরা অনেকটাই নিরাপদ দুরত্ব রেখে চলাচল করতে পারতাম। 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার ওসি বলেন, আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করছি লোকসমাগম বন্ধ করতে। অমরা আমাদের টহল বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্নভাবে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। তারা নিজেরাই যে নিজেদের বিপদ টেনে আনছে তা তারা বুঝতে পাছেনা। 


তাদের বুঝতে হবে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার অন্যতম শর্তই হলো নিজেকে অন্যের কাছ থেকে নিরাপদ দুরে রাখা। তাই এই বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য আমাদের সাথে সাথে সংবাদিক ভাইয়েরাও অনেক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে।


তারপরও প্রত্যেক পেশার লোক বিশেষ করে নেতা ও রাজনীতিবিদসহ সমাজের যারা প্রভাশালী বা নেতৃস্থানীয় লোক তাদের সকলেরই এই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া উচিত।

এই বিভাগের আরো খবর