শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বন্দরে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা, অকালে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

বন্দর (যুগের চিন্তা ২৪) : বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স বিহীন নতুন নতুন অদক্ষ সিএনজি, ও অটো ইজিবাইক চালকগনের কারনণ ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মৃত্যুবরণ করছে সাধারন মানুষ।

 

এ দুর্ঘটনায় শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউই রেহাই পাচ্ছে না। এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বিকেলে বন্দর থানার হাজীপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে আপানূর (৫০) নামে আরো এক বৃদ্ধা। নিহত আপানূর মিয়া বন্দর থানার সোনাকান্দা এলাকার মৃত ছত্তর বেপারীর ছেলে।


এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে ৫টায় বন্দর থানার হাজীপুরস্থ তার নিজবাড়ির সামনে রাস্তায় কাজ করার সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি অটো-মিশুক আপানূরকে ধাক্কা দিলে সে গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহতকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 


পরে স্থানীয় কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদের হস্তক্ষেপে ঘাতক মিশুক চালক ও মিশুক মালিককে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপুরন র্নিধারণ করে। পরে আপানূরের নামাজের জানাযা গতকাল শনিবার বাদ জহুর সোনাকান্দা বড় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সোনাকান্দা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা। 


এ ব্যাপারে কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ বলেছেন, ঘন ঘন স্প্রিট বেকার দিয়েও সড়ক র্দূঘটনা কমানো যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত আমার ওয়ার্ডের সোনাকান্দা, দড়ি- সোনাকান্দা, বেপারীপাড়া ও হাজীপুর এলাকায় সড়ক র্দূঘটনা অনেকে অকালে প্রান হারাচ্ছে।    


বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলছে অদক্ষ চালকরা। বর্তমানে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কে ২’শ সিএনজি এবং বন্দর ১নং খেয়াঘাট থেকে মদনগঞ্জ, কলাগাছিয়া ও সাবদী রোটে সিএনজি রয়েছে ৫’শ উপরে। 
এ ছাড়াও নবীগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে কাইকারটেক রুটে প্রতিনিয়ত ২’শ সিএনজি যাতায়েত করছে। তার পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন রুটে কয়েক হাজার আটো ইজিবাইক ও মিশুক  যাত্রীবহন কাজে নিয়জিত রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সিএনজি চালক ও অটো চালকদের কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। 


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার বিভিন্ন আয়ের মানুষরা বহু কষ্ট করে সিএনজি বা আটো ইজিবাইক ক্রয় করে নিজেরাই চালক সেজে চালানো শুরু করে। এরপর কোন মতে সিএনজি বা অটো-ইজিবাই সমিতিতে ভর্তি হয়ে নির্ধারিত কিছু রুটে তারা গাড়ী চালানো শুরু করে। 


এ সব চালকগন দক্ষ না থাকায় প্রতিদিন কোন না কোন রুটে র্দূঘটনা ঘটিয়ে সাধারন মানুষের জানমালে ক্ষতি করে আসচ্ছে। এ ছাড়াও দিন দিন বন্দরে লাইসেন্স বিহীন যান বাহনের সংখ্যা অনেককাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। 


এছাড়াও বন্দর উপজেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলরত ৮০% চালকের কোন লাইনেন্স নেই বলে জানা গেছে। তারপরও তারা চালক হয়ে বন্দরে র্নিবিগ্নে যাত্রী সেবার কাজ করে আসচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উদাসিনতার কারনে লাইসেন্স বিহীন চালকরা বুক ফুলিয়ে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন রুটে দাবরিয়ে বেড়াচ্ছে। 


এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার ও বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. রফিকুল ইসলামের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগি যাত্রী সাধারণ।      

এই বিভাগের আরো খবর