বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বন্দরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড বই

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২০  

বন্দর (যুগের চিন্তা ২৪) : সরকারি নিয়মনিতী তোয়াক্কা না করে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন বই বিতান গুলোতে চলছে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ে রমরমা ব্যবসা। 

অভিভাবকদের অভিযোগ বন্দর উপজেলা প্রশাসনের নজরধারী ও মনিটরিং এর ব্যবস্থা না  থাকায় বন্দরে অসাধু ব্যবসায়ীরা সবাইকে ঘুমে রেখে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। 

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি বই বিরতণের পর থেকে বন্দর উপজেলার আলীনগর, ফরাজিকান্দা, কল্যান্দী, সোনাকান্দা, বন্দর বাজার, শাহীমসজিদ, পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী, নবীগঞ্জ কদম রসুল, নবীগঞ্জ বাজার, বক্তারকান্দী, লক্ষনখোলা, মদনপুর, ফুলহর, ধামগড়, বিবিজোড়া, মীরকুন্ডী, গকুলদাশেরবাগসহ বেশ কিছু এলাকায় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। 

এ ব্যাপারে এক অভিভাবক জানিয়েছেন, বন্দরে উল্লেখ্যিত বই বিতানগুলোতে ২য় শ্রেণীর অনুপম, লেকচার গাইড বই বিক্রি হচ্ছে ১শ’ ৪০ টাকা থেকে ১শ’ ৫০ টাকা পর্যন্ত। 

৩য় শ্রেণী অনুপম ও লেকচার গাইড বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা থেকে ৩শ’ ৬০ টাকা, ৪র্থ শ্রেণীর অনুপম, লেকচার ও পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ ২০টাকা হইতে ৩শ’ ৫০ টাকা পর্যন্ত।

৫ম শ্রেণীর লেকচার, অনুপম ও পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ ৮০ থেকে ৫শ’ ৫০ টাকা পর্যন্ত। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অনুপম, লেকচার ও পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ ৮০ থেকে ৬শ’ ২০ টাকা পর্যন্ত। 
৭ম শ্রেণী ও ৮ম শ্রেণীর লেকাচার, অনুপম ও পাঞ্জারী বই বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ ৫০ টাকা থেকে ৮শ’ ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 

বন্দরে অবাধে নিষিদ্ধ গাইডবই বিক্রির কারনে কমল মতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য মারত্নক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। 

এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভূক্তভোগী অভিভাবক বন্দরে বিভিন্ন বইবিতান গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।  
 

এই বিভাগের আরো খবর