বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুই শিখিয়েছিলো ধর্ম যার যার উৎসব সবার : মন্ত্রী গাজী

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেছেন, আমরা হিন্দু এবং মুসলিম’রা মিলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলো করছি এটা আমাদের শিখিয়ে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই বাংলাদেশ ধর্ম নিরপক্ষতা শিখেছে। বঙ্গবন্ধুর আমলে কোন ধর্মীয় বিভেদ ছিলো না। পাকিস্তান আমলে যখন বিহারীদের আগমন হল তখন ধর্মীয় উৎসবগুলোতে বিভেদের সৃষ্টি হলো। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বেশিরভাগ বন্ধুই হিন্দু ছিলো। মাত্র বিশ ভাগ বন্ধু ছিলো যারা কিনা মুসলমান। কিন্তু আস্তে আস্তে দেখলাম সেই সকল বন্ধুরা চলে যাচ্ছে। আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। কারণ তাঁরা পাকিস্তানিদের অত্যাচারে এই দেশ ত্যাগ করে চলে যাচ্ছিল। বঙ্গবন্ধুর সময় আমরা খুব ভালো ভাবে ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করছিলাম। একে অন্যের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছিলো যে, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সকলের। আমি যখন প্রথম এমপি (নারায়ণগঞ্জ-১, রূপগঞ্জ) হলাম তখন আমার এলাকায় আমি পূজা মন্ডপ পেয়েছি মাত্র ৭ টি । আর এখন ৪৫ টি মন্ডপ রয়েছে আমার এলাকায়।

 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ৩ টায় দেওভোগ শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির (ইসকন) আয়োজনে রথযাত্রার শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপির আমলে আপনাদের পূজা মন্ডপগুলো ভেঙ্গে দেয়া হতো আপনাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হতো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আসার এই ধরণের ঘটনা ঘটে নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা; তিনি সেই ব্যবস্থা হাতে নিয়েছেন যাতে করে এই দেশে একটি ধর্ম নিরপক্ষ রাষ্ট্র তৈরি হয়। আর আমরা বাংলাদেশীরা কোন সময়ই সাম্প্রদায়িক ছিলাম না। আমরা ছোট বেলা দেখতাম আমাদের বাব মা আমাদের পূজা মন্ডপে নিয়ে যেতেন আমরা প্রসাদ খেতাম, গান বাজনা শুনতাম কি সুন্দর একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি ছিলো। আর এটা অমাদের বাবা- মায়েরাই আমাদের শিখিয়ে ছিলো।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সব সময় বিশ্বাস করি যে, একে (এমপি) অপরের এলাকায় যাবো না। একে অপরের এলাকায় গেলে, আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। তারপরেও আপনারা আপনাদের যে কোন সমস্যা হলে আমার সাহায্যের প্রয়োজন হলে স্থানীয় এমপিদের আগে জানাবেন। তাঁদের সমর্থন থাকলে আমি নিশ্চই আপনাদের যে কোন কাজই করে দিবো। আমরা চাই না যে, আমাদের মধ্যে কোন জায়গাতে কোন বিভেদে হোক। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমাদের শিখিয়েছেন যে, আমাদের মধ্যে যাতে কোন বিভেদ না হয়।

 

এসময় ইসকনের সভাপতি হংষকৃষ্ণ মহারাজের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) সুভাস চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন, মাসুম বিল্লাহ, জেলা সুপার সুবাস ঘোষ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক,  সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহম্মেদ পলাশ, সি.আই.পি অমল পোদ্দার, মহানগর পূজা উদজাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার, কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট্রি পরিতোষ কান্তি সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর