বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ফুটপাতে নারীরা লাঞ্ছনার শিকার 

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার: (যুগের চিন্তা ২৪) : কখনও মৌখিকভাবে কখন বা শারীরিকভাবে ফুটপাতে লাঞ্ছনা, শ্লীলতাহানীর শিকার হতে হচ্ছে নারীদের। প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে ফুটপাতের ভীড়ে বা ফুটপাতে চলাচল, কেনাকাটা করতে এসে এ সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নারীদের। কিন্তু সমাধান কোথাও নে। 

 

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার ঘটনা। খাঁজা সুপার মার্কের্টের সামনে ওড়না দোকানে এক নারীর সাথে বিক্রেতার বাকবিতণ্ডা  চলছে। এক পর্যায় ঐ বিক্রেতা নারীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও খারাপ মন্তব্য করে। ভুক্তভোগী ওই নারীর (ছদ্মনাম সুমি) সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওড়নার দাম বেশি হওয়ায় উনি দোকানদারকে দাম কমাতে বললে তাঁদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায় তাকে খারাপ মন্তব্য করে গালি দেয় বিক্রেতা।

 

এ সকল ঘটনা নতুন নয় মন্তব্যে করে মারুফা নামে এক নারী জানান, আসলে এ সকল ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতিদিনই ঘটছে। আমাদের সাথে। কিন্তু এর বিচার চাইতে আমরা যাব কোথায়? শুধু মৌখিক নয় ফুটপাতে থেকে রাস্তায় নারীদের শিকার হতে হচ্ছে শ্লীলতাহানীর।

 

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে মন্ডলপাড়া পর্যন্ত ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাত দুই পাশ জুড়ে সহস্রাধিক দোকান। সূর্য অস্তনামার সাথে সাথে ফুটপাত বেয়ে সড়কের দু’পাশে ছেয়ে যেতে থাকে এ সকল দোকানের লহর। আর এ সকল দোকান ঘিরে বাড়তে থাকে  ক্রেতাদের ভীড়। সবমিলিয়ে সন্ধ্যানামার সাথে সাথে ফুটপাত পরিণত হয়  জনসমুদ্রে।   

 

আর এ ভীড় ঠেলেই যাতায়াত করতে হয় পথচারীদের। অনেক সময় এ ভীড় ঠেলে চলাচলে প্রায়ই বিপত্তিতে পড়তে হয় নারী পথচারীদের। প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে শ্লীলতাহানীর শিকার হতে হয় নারীদের। 

 

ফুটপাতে চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকের সামনে আলাপ হয় নাসিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর সাথে। তিনি জানান, বিকেল থেকে তো ফুটপাতে আমাদের চলাচল করা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। অঘোষিতভাবেই ফুটপাতে চলাচলে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। আর চলাচল করতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি। কিন্তু এ বিচার নিয়ে কার কাছে যাব।  আসলে  প্রশাসন, এমপি ও মেয়র যদি একটু সদয় হয় তাহলে ফুটপাত হকারমুক্ত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে।


নগরীরর জীবন বীমা অফিসের সামনে কথা হয় বেসরকারী ক্লিনিকের চাকুরিজীবি ফারজানার সাথে। সে জানায়, ফুটপাত হকাররা যেভাবে দখল করে রেখেছে এখান দিয়ে হাঁটা যায় না। গত ১০ মাস আগে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে এ ফুটপাত বসা নিয়ে  রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। কিন্তু তার কয়েক মাস পরেই ফুটপাত আবারো হকারদের দখলে। প্রশাসন উচ্ছেদ করলে হকারার বসার সাহস পায় কী করে?

 

একাধিকবার প্রশাসন, সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও অদৃশ্য কোনো জাদুর ছোঁয়ায় কয়েক দিনের মধ্যেই আবারও হকারদের দখলে চলে যায় ফুটপাত।

 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি মাসে নারায়ণগঞ্জে চলমান হকার উচ্ছেদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে নাসিক মেয়র আইভীর সাথে শামীমপন্থী ও হকারদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই বিভাগের আরো খবর