বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফতুল্লায় সংঘর্ষ : গেসু-আজমত গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৯  

ফতুল্লা (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারী দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় কাইল্যা গেসু-আজমত গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। 

এ বাহিনীর অন্যতম হোতা চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী আজমতকে প্রধান আসামী করে ২৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তবে পুলিশ এখনো কাইল্যা গেসু-আজমত বাহিনীর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 
 
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সংঘর্ষে আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। 
 
এদিকে অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু-আজমত বাহিনী সরকারী দলের নাম ব্যবহার করে কুতুবআইলের শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্টের ঝুট সেক্টর একক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। 

আর একক ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে বিশাল একটি বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে নাজেহালের শিকার হতে হয়। সেই বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়াও মাদক ব্যবসা করে বেড়ায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। 
 
মামলায় আসামী করা হয় আজমত আলী, কাইল্যা গেসু, মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হ্নদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন। 
 
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার কাইল্যা গেসু আজমত গ্রুপের সাথে রামারবাগ এলাকার স্পীটবোর্ড ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই জের ধরে শুক্রবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম (৩২) সে তার বাড়ির সামনে অবস্থান করাকালিন আজমত-গেসুর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। 

এসময় আজিমের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায়। একপর্যায়ে গেসু-আজমত বাহিনীর লোকজনের হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। 

গেসু-আজমত বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে মোস্তফা কামাল গ্রুপের লোকজন দৌড়ে গিয়ে দোকানের ভিতর প্রবেশ করলে তাদের হাতে থাকা লাঠিসেটা চাপাতি নিয়ে দিয়ে ঐ সব দোকান ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর চালায়। 

সন্ত্রাসীরা চাউলের আড়ৎ, ক্যামিকেলের দোকান ভাঙচুর করে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া এলাকার সাধারন লোকজনের শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করা হয়। 

এদের মধ্যে গফুর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়। এ বাড়িতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের থাকার ৪টি টিনের ঘর কুপিয়ে ছিন্ন ভিন্ন করে লুটে নেয়া হয় আসবাবপত্রসহ টাকা পয়সা। 

আর সংঘর্ষে আহত হয় আনুমানিক ১৫জন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতাল এবং নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একপক্ষের মামলা দায়ের হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর